শ্রেয়া চ্যাটার্জি – এই ছবিটি দেখে একটা কথাই মনে আসছে শুধু বই পড়লেই যথাযথ শিক্ষা পাওয়া যায় না। যারা শহরে থাকেন যারা নিজেদেরকে তথাকথিত শিক্ষিত বলে দাবি করেন এই করোনো ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা বিশ্ব যখন লকডাউন, তারা প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বাজার এর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। দূরত্ব বজায় নেই, উপরন্তু একে অন্যের গায়ে ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবিটি একটি গ্রামের বাজারের। আপনি নিজে দেখেই বিচার করুন এই মানুষগুলো হয়তো তথাকথিত সুশিক্ষিত নয়, চার পাতা বেশি পড়াশোনা করে তারা পন্ডিত হয়নি, কিন্তু তারা সচেতন নাগরিক। নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছেন এবং শুধু তাই নয় বাজারওয়ালা যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সবজি কিনছেন।
শিক্ষিত সমাজ কবে জাগবে! বারবার দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর করজোড়ে নিবেদন করছেন যে দয়া করে বাড়ির বাইরে বের হবেন না খুব প্রয়োজন ছাড়া বেরোবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। কিন্তু শহরাঞ্চলে অনেক জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে মানুষ ঠাসাঠাসি করে ভিড় জমাচ্ছেন। কিন্তু কেন? শিক্ষিত মানুষ ক্রমাগত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তারা দেখেছেন কি ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস। কোন দাঙ্গা নয়, যুদ্ধ নয় শুধু একমাত্র ভাইরাসের আক্রমণে দেশের পর দেশ কার্যত মৃত্যু মিছিলে পরিণত হয়েছে। তারপরও কি মানুষের এতোটুকু চোখ ফোটে না? ইতালি, আমেরিকার মতো উন্নত দেশ কার্যত সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়েছে।
এই গ্রাম্য মানুষগুলি থেকে উচ্চ শিক্ষিত মানুষরা একটু শিক্ষা নিন। ওনাদের কলেজ, ইউনিভার্সিটির বড় বড় ডিগ্রি নেই, কিন্তু রয়েছে সচেতনতা, মানবিকতা। ওনারাও জানেন সচেতন হলে তবেই তারা সুস্থ থাকবে। প্রকৃত শিক্ষা কখনোই দম্ভ শেখায় না। শিক্ষিত মানুষ হয়ে যদি মানুষগুলো থেকে আমরাই শিক্ষা নি তাহলে আপত্তি কোথায়? সবাইয়ের প্রচেষ্টাতেই আমরা একটা সুন্দর ভারতবর্ষ আগামী দিনে দেখতে পাবো। না হলে ভারত বর্ষ হয়ে উঠবে এক ভুতুড়ে দেশ।