চলতি মাসের শুরুতে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী ষোল বছরের অলরাউন্ডার রিচা ঘোষ COVID-19 মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল জানিয়েছে, “রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ শিলিগুড়ির জেলাশাসক সুমন্ত সহায়ের অফিসে গিয়ে এই চেক হস্তান্তর করেন। ফাইনাল সহ মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ খেলা রিচা বলেছেন, “সবাই যখন COVID-19 এর সাথে লড়াই করছে এবং মুখ্যমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আবেদন করেছেন, তখন আমি দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে কিছুটা অবদান রাখার কথা ভেবেছিলাম”।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ায় ত্রিদেশীয় সিরিজে অভিষেক হয় রিচার। রিচা এবং শাফালি ভার্মা দু’জন ১৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার ছিলেন যারা ৮ ই মার্চ ফাইনাল খেলেছেন, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৫ রানে হেরেছিল ভারত। রিচার পাশাপাশি সিএবির অধিভুক্ত ইউনিট এবং কর্মকর্তারাও এগিয়ে এসে রাজ্য সংস্থার মাধ্যমে তাদের অবদানের ঘোষণা করেন। সিএবি জানিয়েছে, “৬৬ জন সিএবি ম্যাচ পর্যবেক্ষক দেড় লক্ষ টাকা দান করেছেন, আর ৮২ জন স্কোরাররা তাদের দিনের বেতন, ৭৭,৪২০ টাকা দিয়েছেন। সিএবি অধিনস্ত মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি, দীপক সিং ত্রাণ তহবিলে দুই লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছেন”।
এছাড়াও বাংলার প্রাক্তন মহিলা টেস্ট খেলোয়াড় মিঠু মুখোপাধ্যায় ২৫,০০০ টাকার অবদান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বাংলার মহিলা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ জয়ন্ত ঘোষ দস্তিদার ১০,০০০ টাকা অবদান রাখেন। সিএবির অনুমোদিত ইউনিটগুলির মধ্যে, হোয়াইট বর্ডার ক্লাব এবং বিজয় স্পোর্টস ক্লাব প্রত্যেকে ৫০,০০০ টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করে। উত্তর পালি মিলন সংঘ, শহরতলি ক্লাব এবং রেঞ্জার্স ক্লাব প্রত্যেকে ২৫,০০০ টাকার অবদান রাখে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) এর মধ্যে কোচবিহার ডিএসএ সম্মতি জানায় ১০,০০০ টাকা অনুদান দিতে। এর আগে সিএবি এবং সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অনুদান প্রদান করেন।