আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পর থেকেই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, কয়েক বছর ধরেই বেশ কিছু সিদ্ধান্তের উপর সোচ্চার হয়েছেন। তাকে উপেক্ষা করার এবং ইয়ো-ইয়ো টেস্টকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নির্বাচকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এখন তিনি বিরাট কোহলি এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিরুদ্ধে আরও একবার সোচ্চার হয়েছেন এই বলে যে তারা সৌরভ গাঙ্গুলির মতো তাঁকে সমর্থন করেনি। ক্যান্সার ধরা পড়ার আগে তিনি নিজের সেরাটা উজাড় করে দেশকে দিয়েছিলেন। তারপর যুবরাজ ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে ১৮ মাস পর আবার ক্রিকেটে ফিরে এসেছিলেন। তবে প্রাণঘাতী রোগ থেকে সেরে ওঠার পর তার চকচকে ধারাবাহিকতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো এবং সর্বশেষে ২০১৭ সালে ভারতের জার্সিতে অংশ নেওয়ার পরে, তাকে গত বছর খেলা থেকে অবসর নিতে হয়েছিল।
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০১১ বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে নায়ক হয়েছিলেন ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ২০১১ মেগা ইভেন্টে তার চূড়ান্ত অবদানের জন্য তিনি ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ হিসাবেও মনোনীত হয়েছিলেন। পাঞ্জাবে জন্ম এই খেলোয়াড়, ২০০০ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডার হিসাবে অবসর নিয়েছেন। তিনি ৪০ টেস্ট, ৩০৪ টি ওয়ানডে এবং ৫৮ টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন, যেখানে তিনি সব ফর্ম্যাটে ১৪৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১১,৭৭৮ রান করেছেন। অবসর নেওয়ার পর তিনি বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগ যেমন আবুধাবি টি-১০ লিগ ও কানাডা টি-টোয়েন্টি লিগ পারফর্ম করেন। কানাডা টি-টোয়েন্টি লীগে তিনি একটি দলের অধিনায়কত্বও করেন।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সিং বলেছিলেন যে সৌরভ গাঙ্গুলির অধিনায়কত্বে তিনি যা পেয়েছিলেন তার তুলনায় মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহলির কাছ থেকে তিনি কখনও যথেষ্ট সমর্থন পাননি। তবে সেরা অধিনায়ককে বাছাই করতে বলা হলে তিনি স্বীকার করেন যে ধোনি এবং গাঙ্গুলির মধ্যে বাছাই করা তাঁর পক্ষে কঠিন। অবশেষে তিনি পরে বলেছেন যে গাঙ্গুলির অধীনে তাঁর আরও অনেক স্মৃতি রয়েছে। যুবরাজ সাক্ষাৎকারে জানান, “আমি সৌরভ (গাঙ্গুলি) এর অধীনে খেলেছি এবং তার কাছ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি। তারপরে মাহি (এমএস ধোনি) দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। সৌরভ এবং মাহি এর মধ্যে একজনকে পছন্দ করা কঠিন পছন্দ। তিনি আমাকে যে সমর্থন দিয়েছিলেন তার কারণে সৌরভের অধীনে আমার আরও সময়ের স্মৃতি রয়েছে। মাহি এবং বিরাট (কোহলি) এর কাছ থেকে আমার এ জাতীয় সমর্থন ছিল না।”