করোনা মোকাবিলায় সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার। সেই পথেই এবার আরও একধাপ এগিয়ে গেলো রাজ্য। রেলের কামরায় তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন কোচ। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গেছে তাদের চার ডিভিশন হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল ও মালদহ ডিভিশনে বানানো হচ্ছে এই সমস্ত কোচগুলি। ভারতীয় রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে প্রায় ৫,০০০ টি আইসোলেশন কোচ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, দরকার পড়লে প্রায় ২০,০০০ কোচও তৈরি করা হতে পারে।
রেল সুত্রে খবর, হাওড়া ডিভিশনের টিকিয়াপাড়া কারশেডে ৫০ টি রেকে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। গত শুক্রবারের মধ্যেই বানানো হয়েছে ৫ টি আইসোলেশন কোচ। এরপর আগামী দুই সপ্তাহে বাকি কোচ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন টিকিয়াপাড়া কারশেডের কোচিং ডিপোর আধিকারিকরা। জেনে নিন আইসোলেশন কোচের বিশেষত্বঃ
১. প্রধানত তৃতীয় শ্রেণীর কামরাগুলিকেই এই আইসোলেশন কোচের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
২. প্রত্যেক কোচে থাকবে ৯ টি করে ক্যুপ এবং প্রতি ক্যুপে ৬টি করে আসন। তাহলে একটি কামরায় শুধু ক্যুপের আসন হচ্ছে ৫৪টি। এছাড়া পাশের আসন মিলিয়ে আরও ১৮টি আসন থাকছে। সাথে আপার ও লোয়ার আসনও থাকবে।
৩. একটি কোচের ৮টি ক্যুপের দুটি করে আসন নিয়ে মোট ১৬ টি আসন ব্যবহার হবে শুধুমাত্র রোগীদের জন্য। এছাড়া ক্যুপের ২ টি করে আসন ব্যবহৃত হবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য।
৪. কোচের সাইড আসন গুলি ব্যবহার করা হবে চিকিৎসার সরঞ্জাম সহ অন্যান্য জিনিসপত্র রাখার জন্য।
৫. একটি কোচের ৪ টি শৌচালয়ের মধ্যে দুটিতে স্নান করা যাবে। বাকি দুটি শৌচালয় আগের মতোই থাকবে।
৬. প্রতিটি ক্যুপ মোটা প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে এবং জানালা পুরোপুরি তারজালি দিয়ে ঢাকা থাকবে।
৭. জরুরি চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যাবে ভেন্টিলেটর ও বাইপ্যাপ। সাথে সমস্ত আধুনিক ব্যবস্থাও থাকছে এখানে। শুধু তাই নয় সমস্ত ক্যুপে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে।
জানা গেছে মোট ৫টি কোচের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। নতুন কোচগুলিতে প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর বদলে ফেলা হবে চাদর-সহ অন্যান্য জিনিস। এছাড়া এখন থেকেই প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কামরাগুলি।