লকডাউন শেষ হতে আর হাতে গোনা কদিন বাকি। তারপরই শুরু হয়ে যাবে জনজীবন। কিন্তু আদৌ কি লকডাউন ১৪ তারিখ উঠে যাবে? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্য়া ৫ হাজার ১৪৯ জন। সবথেকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে। সেখানেই দেশের মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে, সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ৬৪-তে দাঁড়িয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। আজ সকালে আরও ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই লকডাউনে কি কি করা উচিত, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার জন্য আগামী শনিবার আবার সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করবেন মোদী। অনেক রাজ্যের পক্ষ থেকে লকডাউন এখনি না তোলার আর্জি করা হয়েছে। তেলেঙ্গানা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সেই রাজ্যে লকডাউন বাড়াতে চাইছেন। আর তাই সব কিছু চিন্তাভাবনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শনিবার নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে লকডাউন একবার তুলে দিলে তা ভারতের পক্ষে মোটেও ভালো হবে না। আরও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে দেশবাসী। তাই কেন্দ্র চাইছে ধাপে ধাপে তোলা হোক লকডাউন। সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে যে মন্ত্রী ও বিভিন্ন আমলারা জানিয়েছেন লকডাউন তুললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতে না খোলা হয়। এই জায়গাগুলিতে সবথেকে বেশি ভিড় জমায়েত হয়, তার উপর শিশুদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নয়, বন্ধ রাখা উচিত সমস্ত জমায়েত, মন্দির, মসজিদ, পার্ক, সিনেমাহল, শপিং মল এরকম জমায়েতপূর্ণ এলাকাগুলিকে বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়েছেন মন্ত্রী ও আমলারা। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলির সামনেই গরমের ছুটি, তাই সেই ছুটিটা একসাথে যুক্ত করে দেবার ও আবেদন করেছেন।