জীবনযাপন

আজকের দিনেই ভগবান যীশু ক্রুশবিদ্ধ, যন্ত্রণাদায়ক এই দিনটি কেন ‘গুড ফ্রাইডে’? জানুন রহস্য

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গুড ফ্রাইডে খ্রীস্টানদের কাছে পালনীয় একটি পবিত্র ছুটির দিন। এর আরও নাম আছে যেমন হোলি ফ্রাইডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, গ্রেট ফ্রাইডে ইত্যাদি। এই দিনটিতে মূলত যীশু খ্রীষ্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন আজকের দিনটি কেন গুড ফ্রাইডে নামে পরিচিত! এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত। কারো মতে, ‘গুড’ কথাটির অর্থ হল ‘পবিত্র’, আবার কারো মতে ‘গুড’ শব্দটি ‘গড’ শব্দের অপভ্রংশ রূপ।

বিশ্বজুড়ে খ্রীস্টানদের কাছে গুড ফ্রাইডে গভীর শোকের দিন। এই দিন উক্ত ধর্মাবলম্বী মানুষেরা উপবাস রাখেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। এটি আসলে অনুশোচনার দিন। যিশু খ্রীস্টের বলিদানের কথা স্মরণ করার দিন।

জুডাসে্র বিশ্বাসঘাতকতার পড়ে যীশু খ্রীষ্ট কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং খ্রীষ্টানরা বিশ্বাস করেন এই দিনেই যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। দীর্ঘ ছয় ঘন্টা ধরে যীশু ক্রুশের যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন। শেষ তিন ঘন্টায় অন্ধকারে সমগ্র অঞ্চল ছেয়ে যায়। চিৎকার করে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সেই জায়গায় ভূমিকম্প হয়। সমাধি ভেঙ্গে যায়।

যে সেঞ্চুরিয়ান ক্রুশবিদ্ধ করার দায়িত্বে ছিলেন তিনি চিৎকার করে বলে ওঠেন ‘সত্যিই তিনি ঈশ্বর পুত্র ছিলেন।’ যীশুর দেহকে অদূরে একটি বাগানের সমাধিস্থ করা হয়। একটি বড় পাথর দিয়ে সমাধির মুখ রুদ্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তৃতীয় দিন রবিবার যীশুর আবার পুনরুজ্জীবন হয়। আইজ্যাক নিউটন বাইবেলীয় ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডার এবং অমাবস্যা তিথি বিচার করে গুড ফ্রাইডে যে প্রকৃত সালটি নিরূপণ হয়েছে সেটি হল ৩৪ খ্রিস্টাব্দ।

Related Articles

Back to top button