দেশনিউজ

আসামের ‘বিহু’ উৎসবেও পড়ল করোনার থাবা

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – আসামের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘বহাগ বিহু’, যা ‘রঙালী বিহু’ নামেও পরিচিত। বসন্তকালে উদযাপিত হওয়া এই উৎসবটি অসমীয়াদের ‘নববর্ষ’ হিসেবেও পরিচিত। এই বিহু উৎসব এক সপ্তাহ ধরে চলে। শুরু হয় গরু বিহুকে দিয়ে। যেখানে পশুকে স্নান করে, পুজো করা হয়।

তবে এবারের লকডাউন চলায় প্রত্যেককে অনুরোধ করা হয়েছে বাড়ির মধ্যে থাকতে এবং এই উৎসবকে অনেকটা নিয়ন্ত্রিত করে রাখা হয়েছে। আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি বিহু সমিতি দের অনুরোধ করেছি এই বছর শুধু একটি পতাকা উত্তোলন করেই যেন অনুষ্ঠান করা হয় এবং যে অনুষ্ঠানে পাঁচ জনের বেশি লোকের উপস্থিতি থাকবে না।’

বিহু অনুষ্ঠানের সঙ্গে নানান রকম খাবার তৈরির একটা গল্পও রয়েছে। বিভিন্ন রকমের পিঠে, লাড্ডু, তাছাড়া ওই সময় নতুন গামছা তৈরি হয়। যা প্রিয় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। বছরের প্রথম দিন ‘মানহ’ নামে পরিচিত। যেদিন ছোটরা বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে তাদের থেকে আশীর্বাদ নেন। তবে এখন লকডাউনের সময় এই অনুষ্ঠান গুলি বন্ধ থাকবে। কারণ লকডাউনের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। গুয়াহাটিতে প্রায় ২৬ টি বিহু সমিতি বিহু কে কেন্দ্র করে যে সাংস্কৃতিক উৎসব হয়, তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আসামে এখনও পর্যন্ত ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। একজন ৬৫ বছরের বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে শিলচর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে।

Related Articles

Back to top button