শ্রেয়া চ্যাটার্জি – শিল্প কারখানা, দোকানপাট, কর্মক্ষেত্র এবং জনসমাগম বন্ধ। মানুষ এখন গৃহবন্দী। করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এটাই একমাত্র রাস্তা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। যার ফলে দূষিত বজ্র পদার্থ গঙ্গায় গিয়ে পড়ছে না। পরিবেশ দূষণ ও অনেকটা কমেছে। করোনা আমাদের থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। প্রিয়জনের মৃত্যু দিয়েছে, ব্যথা দিয়েছে, কষ্ট দিয়েছে, ভয় দিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে ভালো কিছুও দিয়েছে। হরিদ্বার এবং ঋষিকেশ এর কাছে গঙ্গার জল এত পরিষ্কার হয়েছে যে তা পানযোগ্য হয়ে উঠেছে।
অনেক অধ্যাপক এবং গবেষকদের মতে, এক অসাধারন পরিবর্তন তারা কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার জলে লক্ষ্য করছেন। তন্ময় বাবু, গঙ্গা সভা জেনারেলের সেক্রেটারি, এবং আর কে কথাইত স্টেট পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড টেরিটোরিয়াল অফিশিয়াল জানান, আগে কখনো গঙ্গার জলকে এমন ভাবে দেখা যায়নি। হরিদ্বার এবং ঋষিকেশ এ পর্যটক আবির্ভাব কম হওয়ায় এমন অসাধারণ ঘটনা ঘটেছে। কাঁচের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে গঙ্গার জল।
গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে করোনা যেমন ভাবে গ্রাস করেছে তা সত্যিই চিন্তার বিষয়। বর্তমানে ভারতবর্ষেও থাবা বসিয়েছে করোনা। করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র রাস্তা হলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তাই লকডাউন মেনে নিন। ঘরে বসে থাকুন। অকারণে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।