শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস এর দাপটে আমরা প্রত্যেকেই এখন গৃহবন্দী জীবন কাটাচ্ছি। স্কুল, কলেজ পড়াশোনার সমস্ত জায়গা বন্ধ। তাই সব জায়গাতে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে সবাই মিলে বাড়িতে ইন্টারনেট একসঙ্গে কাজ করার ফলে নেটের অবস্থা খুব খারাপ। এই ১২ বছরের ইতালিও এক বালক সে প্রতিদিন এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন ওয়াইফাই কানেকশন পাবে বলে। এই ওয়াইফাই কানেকশন টি পাওয়ার পরে তিনি অনলাইন ক্লাস গুলি করতে পারেন। ইটালির এই জায়গাটিতে এলে প্রতিদিনই দেখা যাবে একই সময় এই বাচ্চাটি গাছের তলায় বসে পড়াশোনা করছে।
১২ বছর বয়সী গিউলিও গিওভান্নি দেখলে আপনি হয়তো ভাববেন আপনি দিবাস্বপ্ন দেখছেন। জায়গাটি শহুরে এলাকায়, চারিদিকে পাহাড়, আঙ্গুরের গাছ এবং অলিভ গাছের তলায় বেশ রৌদ্র ঝকঝকে দিনে ছেলেটি পড়াশোনা করছে। তবে আপনার হয়তো দেখে মনে হতেই পারে ক্লাসটা যখন অনলাইন হচ্ছে সে কেন বাড়ি থেকে বসে করছে না? বাড়িতে তার ওয়াইফাই সিগন্যাল এর সমস্যা হচ্ছে সেই জন্য সে প্রতিদিন এক কিলোমিটারের পথ বেশি পথ অতিক্রম করে সেই জায়গাতে আসে। এখানে এসেই সে ওয়াইফাই সিগন্যাল পায় এবং তার দ্বারা এসে অনলাইন পড়াশোনা করতে পারে। এই বালকটির মা বিভিন্ন ফোন কোম্পানিতে ফোন করে বলেছেন ইন্টারনেটের এই অবস্থা, এই সমস্যা ঠিক করতেও বলেন। তবে যতক্ষণ এই সমস্যার সমাধান না হয় গিউলিওর মা তাকে প্রতিদিন গাড়ি করে এই বড় গাছটির নিচে রেখে যান।
পড়াশুনার অদম্য ইচ্ছা না থাকলে বোধ হয় এমনটা প্রতিদিন করা যায় না। তবেই লকডাউন চক্করে সারাক্ষণ বাড়িতে থাকা বাচ্চাদের মানসিক অবস্থারও ক্ষতি হচ্ছে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তারা একেবারে গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে ইতালির এই বাচ্চাটি জেদ আর ইচ্ছা যেকোনো বড় মানুষের কাছেও আদর্শ হয়ে উঠতে পারে।