করোনার সাথে লড়তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার পরিকল্পনা সরকারের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য দেশজুড়ে জারি লকডাউন। বন্ধ কলকারখানা, অফিস। লকডাউনের ফলে অর্থনীতির প্রবল ক্ষতি হয়েছে এবং আরও হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই অবস্থায় একাধিক কোম্পানিই কর্মীদের বেতন কাটার মতো পদক্ষেপ করেছে। এবার সেই বেতন কাটার রেশ এসে পড়লো সরকারি ক্ষেত্রেও। জানা যাচ্ছে, সরকারী কর্মীদের বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এপ্রিল মাসেই সমস্ত সরকারি কর্মীদের একদিনের বেতন কাটা হবে। আগামী একবছর টানা এই বেতন কাটার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের আছে। বেতন কাটার পাশাপাশি সরকারি কর্মচারীরা যে ডিএ পান তাও এই মুহূর্তে পাবেননা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রাজস্ব দপ্তরের কাছে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে বিভাগ গুলি সামনে থেকে লড়াই করছে তারা বাদে বাকি সমস্ত বিভাগের অফিসার ও কর্মীদের ২০২১ এর মার্চ পর্যন্ত প্রতিমাসের বেতনের থেকে একদিনের বেতন দেওয়ার আবেদন করা হবে। যারা এই আবেদনে সম্মত হবেননা, তাদেরকে রাজস্ব দপ্তরকে জানাতে হবে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে। সেক্ষেত্রে নিজের এমপ্লয়ি কোড উল্লেখ করে রাজস্ব দপ্তরকে জানাতে হবে।
বেতন কাটার পাশাপাশি সরকারি কর্মীরা ডিএ থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন। ১লা জানুয়ারি, ২০২০ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ৪% করে ডিএ বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এই মুহূর্তে দেওয়া হবেনা বলেই জানা যাচ্ছে। লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতি ঠেকেছে তলানিতে। সরকারের এখন প্রধান দায়িত্ব দেশের সাধারণ মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া। তাই এভাবেই নানা উপায়ে কোষাগার ভরার চেষ্টা চলছে। সরকারি কর্মীদের যে বেতন কাটা হবে তা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে জমা হবে।