জীবনযাপন

সৌভাগ্যে সুখ, সমৃদ্ধি, অর্থ ফেরাতে সূর্যদেবের মন্ত্র পাঠ করুন, ভালো ফল পাবেন

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – সূর্য হলো হিন্দুদের প্রধান সৌর দেবতা। তিনি আদিত্য গনের অন্যতম কাশ্যপ এবং ও তার অন্যতম পত্নী অদিতির পুত্র। আবার কেউ কেউ মনে করেন, তিনি ইন্দ্রের পুত্র সূর্যের কেশ ও বাহু সোনার। তিনি আকাশ পথে পরিভ্রমণ করেন। তার রথের ঘোড়াগুলি সাতটি পৃথক রংয়ের রংধনুর সাত রং এর প্রতীক। তিনি রবিবারের অধিপতি।

হিন্দু ধর্মীয় সাহিত্যে সূর্যকে যথেষ্ট গুরুত্ব প্রদান হয়েছে। কারণ তিনি একমাত্র দেবতা যাকে মানুষ প্রত্যহ প্রত্যক্ষ করতে পারে। এছাড়াও শৈব ও বৈষ্ণবেরা সূর্যকে যথাক্রমে শিব ও বিষ্ণুর রূপভেদ বলে মনে করেন। উদাহরণস্বরূপ বৈষ্ণবের সূর্যকে সূর্য নারায়ণ বলে থাকেন, আর শিবের অষ্টমূর্তি রূপের অন্যতম হলো সূর্য। স্নান সেরে শুদ্ধ বস্ত্র পরে সূর্যদেবের আরাধনা করতে হয়। এক মনে নিষ্ঠাভরে সূর্যদেবকে ডাকলে তিনি তার ভক্তের ডাক শোনেন এবং মনোবাসনা পূর্ণ করেন। সূর্যদেবের মন্ত্র নমস্কারের মন্ত্র হল ‘জবাকুসুমসঙ্কাশং কাশ্যপেয়ং মহাদ্যুতিম। ধ্বান্তারিং সর্ব পাপঘ্নং প্রণতোহস্মি দিবাকরম্।।’

তবে পুরান মতে, শোনা যায় শনি দেবের পিতা হলেন সূর্যদেব। তার সাথে তিনি যমরাজ এবং যমুনা দেবীরও। সূর্যদেবকে কিন্তু একবার শনিদেব তার বক্রদৃষ্টি দিয়েছিলেন। তবে সৌভাগ্য সমৃদ্ধির দেবতা হলেন সূর্যদেব। সূর্যদেবের অনেক নাম আছে অর্থাৎ রবি অর্থাৎ আগুনপাখি, আদিত্য অর্থাৎ অদিতির পুত্র , দিবাকর অর্থাৎ দিনের শ্রেষ্ঠ। অর্ক অর্থাৎ রশ্মি, মিত্র অর্থাৎ বন্ধু, ভানু অর্থাৎ আলোক, ভাস্কর অর্থাৎ আলোক নির্মাতা।

Related Articles

Back to top button