শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনা ভাইরাস হওয়াতে গোটা বিশ্ব কার্যত গৃহবন্দী। যার ফলে পৃথিবীটা যেন পশুপাখিদেরই হয়ে গিয়েছে। এই সময়কে তারা দারুণভাবে উপভোগ করছে। মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে মানুষের অত্যাচারে তারা এতদিন কতটা বিপর্যস্ত হয়েছিল, যে নিজেদের বাসস্থানে তারা স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারছিল না। যেই মুহূর্তে মানুষ ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, ওরাও নিজের মতন করে জীবন কাটাচ্ছে। কোথাও সমুদ্রের ধারে লাখো লাখো কচ্ছপ ডিম পাড়তে আসছে, কোথাও আবার সমুদ্রের ধারে সানবাথ নিচ্ছে অজস্র কুমির, কখনো বা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণের দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগের ন্যাশনাল পার্কে পর্যটকদের আনাগোনা একেবারে বন্ধ, যানবাহনের ও যাতায়াত নেই যার ফলে রাস্তার মাঝখানেই সিংহ তার পরিবার সমেত একটু জিরিয়ে নিচ্ছে। ক্রুগের ন্যাশনাল পার্ক এই ভিডিওটি টুইট করে লেখে “ক্রুগে যারা বেড়াতে আসেন তারা সাধারণত এই ছবি দেখতে পান না। সিংহরা সাধারণত ‘কেম্পিয়ানা কন্ট্রাকচুয়াল পার্ক’ এর অধীনে। তাই ক্রুগের এ যারা বেড়াতে আসেন তারা এই দৃশ্য দেখতে পান না।” তবে শীতের দিনে রোদ পোহানোর জন্যই রাস্তাতে প্রায়ই সিংহকে শুয়ে থাকতে দেখা যায়, আর এখন একেবারে নিস্তব্ধ পরিবেশ, সিংহ একেবারে সপরিবারে ছোট্ট করে একটু ঘুমিয়ে নিতে ব্যস্ত।
Kruger visitors that tourists do not normally see. #SALockdown This lion pride are usually resident on Kempiana Contractual Park, an area Kruger tourists do not see. This afternoon they were lying on the tar road just outside of Orpen Rest Camp.
?Section Ranger Richard Sowry pic.twitter.com/jFUBAWvmsA— Kruger National Park (@SANParksKNP) April 15, 2020
একসময় চিড়িয়াখানা, মিউজিয়ামে গিয়ে খাঁচায় বন্দি, কাঁচের ওপাশে থাকা পশুকে দেখে আমরা খুব আনন্দ পেয়েছি। আজ বুঝি পশুরা প্রতিশোধ নিচ্ছে। মানুষ যখন ঘরের মধ্যে বন্দি। তারা নিজের মতন করে আনন্দ করে বেড়াচ্ছে। আসলে মানুষই নিজেকে শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে প্রমাণ করতে গিয়ে, পশু পাখিদের বড্ড ছোট করেছে। পশু, পাখি গুলি বুঝি আজ মনে মনে ব্যঙ্গ করে মানুষের দিকে তাকিয়ে হাসে। হয়তো মানুষের দিকে আঙুল তুলে তারা জিজ্ঞাসা করতে চায়, গৃহবন্দি জীবন কেমন লাগে?