একেই করোনা ভাইরাসে গোটা পৃথিবী আতঙ্কিত, তার মধ্যে আবার জাপানে ভুমিকম্পের পূর্বাভাস দিল জাপানেরই একটি সরকারি সংস্থা। শুধু ভুমিকম্পই নয়, তার পরের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা। ভুমিকম্পের ফলে ভয়াবহ সুনামিরর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আর সেইজন্যই সমুদ্র উপকূল থেকে জনসাধারণকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে গত ১৮ এপ্রিল একটি ভুমিকম্প হয়, তার ফলে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই ভুমিকম্পের ফলে জাপান দ্বীপের দক্ষিণ – পশ্চিম উপকূলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, ভুমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৯ পর্যন্ত হতে পারে। সমুদ্রে তলায় টেকটোনিক প্লেটের স্থান পরিবর্তনের কারনেই এমনটা হবে বলে জানা গিয়েছে। সমুদ্রের গভীরে এমন ভয়াবহ ও শক্তিশালি ভুমিকম্পের জেরে ৩০ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ে সুনামির সৃষ্টি হতে পারে। গত ১৮ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ভুমিকম্পই তার পূর্বাভাস দেয় বলে জানিয়েছে জাপান আবহাওয়া সংস্থা।
ইউএসজিএস একটি একটি মানচিত্রের মাধ্যমে এই ভুমিকম্পের উৎসস্থল স্পষ্ট করেছে। তারা জানিয়েছে, ভুমিকম্পটির উৎসস্থল হবে সমুদ্রের অনেক গভীরে। যাতে করে সেই চাপের ফলে সমুদ্রের রূপ অনেক ভয়াবহ আকার ধারন করবে। আর এই চাপ ও ঢাক্কার জেরে সমুদ্রের থেকে ৩০ মিটার বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়বে৷ যার ফলে ভয়াবহ সুনামিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস। তাই জাপানের দক্ষিণ – পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, এমন ভুমিকম্প আসলে মেগা ভুমিকম্প। যা সচারাচর ঘটে না বলেই জানিয়েছেন তারা।