গোটা বিশ্বের বিমান পরিষেবা বন্ধ প্রায় ১ মাসের ও বেশি সময় ধরে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই এখন মূল লক্ষ্য। তাই বিশ্বের বিমান চলাচল ব্যবস্থা থমকে রয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিমানবন্দরগুলিতে নতুন গাইডলাইন তৈরী করে দিয়েছে। এরপরে যাত্রী বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে।
কি কি পরিবর্তন হবে, একনজরে দেখে নিন-
১) করোনার জেরে এখন থেকে বিমানবন্দরে অনলাইন চেকিং করা প্রায় বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। চেক-ইন-কাউন্টার থাকলেও খুব প্রয়োজন ছাড়া যাত্রীদের অনলাইনে চেক-ইন করে নেবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২) বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে ইমিউনিটি পাসপোর্টের ব্যবস্থা করা হতে পারে।
৩) বিমানবন্দরে যাবার জন্য যাত্রীদের এখন থেকে অন্তত ৪ ঘন্টা সময় নিয়ে বেরোতে হবে। এখন থেকে শুধুমাত্র সিকিউরিটি চেকিং নয়, হবে হেলথ চেকিং ও অন্যান্য প্রক্রিয়া। তাই হাতে সময় নিয়ে বেরোতে বলা হচ্ছে।
৪) সূত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী বিমানবন্দরগুলোতে Biomed CT scan-র ব্যবস্থা হতে পারে, তার সাথে ব্যাগ ও অন্যান্য সামগ্রীকে স্যানিটাইজড করা হতে পারে।
৫) এর সাথে বোর্ডিং যাত্রীদের ক্ষেত্রে এবার থেকে অন্তত ১ ঘন্টা আগে পৌঁছতে হতে পারে। নোটিফিকেশন যাত্রীদের মোবাইলে পাঠানো হবে।
৬) কারোর স্বস্থ্যের কোনোরকম অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে তাকে বিমানে উঠতে দেবার সম্ভাবনা কম।
৭) বিমানের ভিতরে বিমানসেবিকাদের প্রোটেক্টিভ গিয়ার পরতে হতে পারে। যাত্রীদের মাস্ক, গ্লাভস এগুলি বাধ্যতামূলক পরতে হবে।
৮) এছাড়া খাবারের দিকেও বিরাট পরিবর্তন আসতে পারে। এবার থেকে প্রি-প্যাকেজড সিলড খাবার দেওয়া হতে পারে।
৯) প্রত্যেক ৩০ মিনিট অন্তর অন্তর হ্যান্ড-স্যানিটাইজার দেওয়া হতে পারে।
১০) এছাড়া সমস্ত কিছুই ১০০ শতাংশ ডিজিটাল পেমেন্টের মাধ্যমে করা হতে পারে।