প্রতিনিয়ত দেশ ও রাজ্যে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। যার ফলে সোমবার প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে জানান, রাজ্যের যেসব অঞ্চলগুলি রেড জোনে রয়েছে সেখানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অরেঞ্জ জোনে থাকা অঞ্চলগুলিকে শীঘ্রই গ্রীন জোনে নিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশের পর রাজ্যের মুখ্যসচীব রাজীব সিনহা জানান, গত ২৭ দিন ধরে জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-য়ে নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। যার ফলে শীঘ্রই ওই দুটি জেলাকে অরেঞ্জ জোন থেকে গ্রীন জোনে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।
যেসব অঞ্চলে আক্রান্তের হদিশ পাওয়ার প্রথম ১৪ দিন পর নতুন করে কোনো সংক্রমণ ঘটবে না সেই অঞ্চলকে অরেঞ্জ জোনের আওতায় আনা হবে। তার পরের ১৪ দিন যদি ফের নতুন আর কোনো সংক্রমণ না ঘটে অর্থাৎ ২৮ দিন যদি একটি অঞ্চলে নতুন করে কোনো সংক্রমণের খোঁজ না পাওয়া যায় সেই স্থানগুলি গ্রিন জোনে পরিনত হবে। সেই দিকে দৃষ্টি আরোপ করে মুখ্যসচীব জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং-য়ে নতুন করে আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি। তাই ওই জেলা দুটিকে শীঘ্রই গ্রিন জোনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৮ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ জন। তবে রাজ্যে তাল মিলিয়ে আক্রান্তরাও সুস্থ হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল দেশে প্লাজমা থেরাপির সঠিক পদ্ধতি না জানলে ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই প্লাজমা থেরাপির সঠিক নিয়ম না জেনে তা রোগীর উপর প্রয়োগ করলে তাতে ফল খারাপ হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।