দেশ জুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই বন্ধ আছে রেল পরিষেবা। এর আগের পর্যায়ের লকডাউন ওঠার পর অর্থাৎ ১৫ই এপ্রিল থেকে ট্রেন চলার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পর্যায়ে লকডাউন ৩রা মে পর্যন্ত বাড়ানোর ফলে রেলের তরফে ঘোষণা করা হয়, ৩রা মে পর্যন্ত দেশে কোনো ট্রেন চলবে না। ৩রা মে এর পর দেশে করোনা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কবে থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ৪ঠা মে থেকে আদৌ কোনো ট্রেন চালানো যাবে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্টই সন্দেহ আছে।
গত ২২শে মার্চ জনতা কার্ফুর দিন প্রথম দেশ জুড়ে ট্রেন বন্ধ করা হয়। তারপর রেলের তরফে ঘোষণা করা হয় যে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকবে। কিন্তু এর মধ্যেই ২৪ মার্চ মধ্য রাত থেকে লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ায় ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত রেল পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর লকডাউন আরও বাড়ায় ৩রা মে পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেল মন্ত্রক। প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে দেশ জুড়ে মালবাহী ট্রেন চলছে।
তবে বেশ কিছু রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভিন রাজ্যে যেসমস্ত শ্রমিকরা আটকে আছে তাদের ফিরিয়ে আনতে স্পেশাল ট্রেন চালানো হোক। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেই রেল এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে। ইতিমধ্যেই ৩রা মার্চ পর্যন্ত সমস্ত রিজার্ভেশন ক্যানসেল করেছে রেল। তবে ১২ই আগস্ট পর্যন্ত এখনো ৮০ লক্ষ মানুষের রিজার্ভেশন আছে। সেই রিজার্ভেশন গুলির কি হবে বা ৪ঠা মার্চ থেকে আদৌ ট্রেন চলবে কিনা তা জানা যাবে কদিনের মধ্যেই।