দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ানক জায়গায় যাচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরাই ভরসা। কিন্তু সেই চিকিৎসা কর্মীদেরই এক করুণ চিত্র চমকে দিলো সকলকে। দিল্লির এক সরকারি হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের করুণ কাহিনী সামনে এনেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা। ওই সংবাদসংস্থা দিল্লির ওই হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে কথা বলেছে। সেখানেই নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কথায় ফুটে উঠেছে তাদের দুঃখের কাহিনী।
চুক্তিভিত্তিক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বক্তব্য হাসপাতালে তাদের কার্যত অস্পৃশ্য করে দেওয়া হচ্ছে। ওই সংবাদ সংস্থাকে এক নার্স জানিয়েছেন, তাদেরকে নির্দিষ্ট কিছু টয়লেট এবং ওয়াশ বেসিন ব্যবহার করতে হচ্ছে। ১৪ দিন কাজের পরই তাদের স্যাম্পেল কালেক্ট করা হচ্ছে পরীক্ষার জন্য। সিনিয়র চিকিৎসক বা হাসপাতালের অন্য নার্সরা একসাথে ১৪-১৫ দিন কাজ করার পর তাদের একই সময়ের জন্য ছুটি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ৩-৪ দিন পরেই আবার কাজে যোগদান করতে বলা হচ্ছে।
ডি কে গৌতম নামের এক স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, কোনো করোনা যোদ্ধা নয় তাদের সাথে আচরণ করা হচ্ছে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো। এই সমস্ত চুক্তিভিত্তিক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কারও করোনার লক্ষণ প্রকাশ পেলে ১৪-১৫ দিন পর তাদের টেস্ট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এইসমস্ত নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত পিপিইও দেওয়া হচ্ছেনা, বদলে ব্যবহার করা পিপিই তাদের দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সরকার অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিক এমনটাই তারা জানিয়েছেন ওই সংবাদ সংস্থাকে।