দেশে জারি তৃতীয় দফার লকডাউন। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে বলে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে ৩ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে এবং তার সাথেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন হবার হার ও বাড়ছে, সেই এলাকাগুলি রেড জোন। আর যেখানে গত ২১ দিন ধরে নতুন করে সংক্রমণের খবর মেলেনি, সেই এলাকাগুলিকে গ্রিন জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে না, সেই এলাকাগুলি অরেঞ্জ জোন।
কেন্দ্রের তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ১৩০ টি রেড জোন ও ৩১৯ টি গ্রিন জোন এবং ২৮৪ টি অরেঞ্জ জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। রেড জোনে কড়াকড়ি জারি থাকবে, তবে গ্রিন জোন ও অরেঞ্জ জোনে কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে, দেখে নিন –
১) রেড জোন –
- রেড জোনে কৃষিকাজ ও অনুসারী শিল্পে ছাড় মিলবে।
- গ্রামীণ এলাকাগুলিতে শিল্প ও নির্মাণ কাজ চালু থাকবে।
- পোল্ট্রি, মৎস্যপালন, উদ্ভিজ, বনজ শিল্প খোলা রাখা যাবে।
- আয়ুর্বেদ সহ সমস্ত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবা রেড জোনে চালু থাকবে।
- ইঁটভাটা, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, এমএনআরইজিএ প্রকল্পের কাজ চালু রাখা যাবে।
- এছাড়া প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, আইটি সেক্টর, ডেটা ও কলসেন্টারে ছাড় মিলবে।
- কুরিয়ার ও ডাক পরিষেবা চালু থাকবে।
- টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু রাখা হবে।
- সমস্ত হোম ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে রেড জোনে।
- অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবাতেও ছাড় মিলবে।
২) অরেঞ্জ জোন –
- এক্ষেত্রে ট্যাক্সি ও ক্যাব চালু রাখা যাবে। তবে সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ জন যাত্রী নেওয়া যাবে।
- অনুমতি নিয়ে আন্তঃজেলা যাতায়াত করা যেতে পারে।
- ই-কমার্স সংস্থাগুলির অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করতে পারবে।
- ৩) গ্রিন জোন
- গ্রিন জোনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো যাবে।
- বাস ডিপোতেও ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- সব ধরণের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে গ্রিন জোনে ছাড় মিলবে।
- গ্রিন জোনেও ই-কমার্স সংস্থাগুলির অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ করতে পারবে।
- এছাড়া গ্রিন জোনে সব ধরণের পরিষেবাই চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।