লকডাউনের মাঝেই তিরুপতিতে ছাঁটাই করা হলো ১৩০০ অস্থায়ী কর্মীকে। ১লা মে থেকে কাজে আসতে বারণ করা হয়েছে ১৩০০ কর্মীকে। চুক্তির ভিত্তিতে নেওয়া এই ১৩০০ সাফাই কর্মীকে যে সংস্থা থেকে পাঠানো হয়েছিল তাদের সাথে নতুন করে চুক্তি নবীকরণ করেনি মন্দির কতৃপক্ষ। ফলে এই লকডাউনের মাঝে ১৩০০ কর্মীর কাজ চলে গেলো। এই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মন্দির কতৃপক্ষের এই কাজকে অমানবিক বলে নিন্দাও করা হয়েছে।
মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ওয়াইভি রেড্ডি সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, “যে সংস্থার মাধ্যমে ওই কর্মীদের কাজে নেওয়া হয়েছিল তাদের সাথে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন চুক্তি করার ব্যাপারে আমরা এই মুহূর্তে ইচ্ছুক নই। তবে ওই কর্মীদের কিভাবে সাহায্য করা যায় সেটা আমরা দেখছি।” শুধুমাত্র চুক্তিভিত্তিক ওই কর্মীরাই নয়, যারা নিয়মিত কাজ করতেন তাদেরও লকডাউনের পর থেকে আর কোনো কাজ দেওয়া হয়নি।
এই আর্থিক বছরে তিরুপতি মন্দিরের বাজেট ৩৩০৯ কোটি টাকা। সেখানেই কর্মীদের চুক্তি বাতিল করে দেওয়া নিয়ে যথেষ্টই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। চুক্তি বাতিল করার পর সাফাই কর্মীরা নতুন করে মন্দির ট্রাস্টের কাছে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু মন্দির কতৃপক্ষ চুক্তি নবীকরণ করতে আগ্রহী নয়। এই বিষয়ে স্থানীয় শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মন্দির কতৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের কড়া নিন্দা করা হয়েছে। স্থানীয় সিটু নেতৃত্ব জানিয়েছে, লকডাউনের আগে মন্দিরে আগত ভক্তদের সুরক্ষার জন্য যারা কাজ করেছে আজ বিপদের সময় তাদের বাইরের রাস্তা দেখিয়ে দেওয়া হলো।