দেশনিউজ

স্টাইরিন নামক গ্যাস থেকেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কি সেই স্টাইরিন?

Advertisement

১৯৮৪ সালে ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনার কথাই আজ মনে করিয়ে দিচ্ছে বিশাখাপত্তনমের ঘটনা। প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিল ভোপালের সেই গ্যাস দুর্ঘটনায়। সেই গ্যাসের কুপ্রভাবে আজ ও ভুক্তভোগী ভোপাল। বিভিন্ন রকমের শারীরিক অসুস্থতায় আজ ও ভোগে ভোপালের মানুষেরা। এবার কি বিশাখাপত্তনমে সেই ঘটনা ফিরে আসল? আশঙ্কার প্রহর গুনছে বিশাখাপত্তনম।

বিশাখাপত্তনমের গোপালপত্তনম এলাকার একটি রাসায়নিক কারখানা থেকে স্টাইরিন নামক গ্যাস লিক হয়।  যা থেকে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে খবর।

কি সেই স্টাইরিন ?

মূলত প্লাস্টিক, রাবার, ল্যাটেক্স, প্রভৃতি তৈরির ক্ষেত্রে এই ভয়াবহ স্টাইরিন গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এই তরল গ্যাস সিগারেটের ধোঁয়াতে, যানবাহনের ধোঁয়াতে থাকে বলে বিদেশি সংস্থা মারফত জানা গেছে।

কি হয় এই স্টাইরিনের জন্য ?

EPA- র তথ্য অনুযায়ী, এই স্টাইরিন গ্যাস সামান্য পরিমানে শরীরে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা, চোখ জ্বালা, শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী এই উপসমগুলি দেখা দেয়। আর যদি বেশি পরিমানে শরীরে প্রবেশ করলে নার্ভের সমস্যা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু ও হয়।

কি কি উপশম দেখা দিতে পারে ?

মাথা যন্ত্রনা, কানে কম শুনতে পাওয়া, দুর্বলতা, মনোনিবেশের সমস্যা হতে পারে। এমনকি লিভার, কিডনি, চোখ ও নাকে মারাত্মক জ্বালা অনুভূত হয়।

বর্তমানে বিশাখাপত্তনমের কি অবস্থা ?

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও নৌ বাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে উদ্ধার কাজ করে চলেছে। শিশু সহ ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বহু মানুষকে কিং জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যেকের চিকিৎসা চলছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ১০০০ জনকে হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হয়েছে। বহু মানুষের বসবাস থাকায় তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। প্রত্যেক অসুস্থ ব্যক্তিকে অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে যে পরিস্থিতি এখন অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে।

Related Articles

Back to top button