দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে হাতির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। করোনা আতঙ্কে সৎকারের জন্য দেহ নিতে অস্বীকার করে পরিবার। অগত্যা দেহ সৎকারের দায়িত্ব নিতে হল পুলিশকেই। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দিন চারেক আগে কর্ণাটকের মাইসোর জেলার চমরাজননগরে বুনো হাতির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। পুলিশের তরফে ওই ব্যক্তির পরিবারের কাছে মৃত্যুর খবর পাঠানো হলেও তার দেহ নিতে অস্বীকার করে পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, কর্ণাটক সীমান্তের এই অরণ্যাঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। স্থানীয় লোকজনের কাছে এ ঘটনা গা সওয়া হয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে এই জঙ্গলে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে তারা। পরে ময়নাতদন্ত করে জানা যায়, হাতির আক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। পুলিশের পক্ষ থেকে এই খবর পৌঁছে দেওয়া হয় পরিবারের কাছে। কিন্তু পরিবারের লোকজন দেহ নিতে বেঁকে বসেন। করোনা আতঙ্কে দেহ সৎকার করতে অস্বীকার করেন পরিবারের সদস্যরা। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তারা দেহ নেবেন বলেন জানায় পুলিশকে।
অগত্যা দায়িত্ব নিতে হল পুলিশকেই। হিন্দু বিধান মেনে সৎকার করা হল ওই ব্যক্তির দেহ। অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এইচ বি মদগোয়াড়া ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে সারলেন সমস্ত ক্রিয়াকর্ম। জানা গেছে, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কোন কারণে জঙ্গলে গিয়ে হাতির সামনে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি।