শ্রেয়া চ্যাটার্জি – দুশো চল্লিশ বছরের একটা দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরে অবশেষে ইউনাইটেড কিংডম এর নীল আকাশে দেখা মিললো সাদা লেজের শিকারিক ঈগলের। এ প্রজাতিটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবে আকাশে তাদের উড়তে দেখে সংরক্ষণবিদরা বেজায় খুশি। অষ্টাদশ শতকে এই পাখিটি ইংল্যান্ডে প্রায়ই দেখা যেত। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও পরবর্তীকালে চোরা শিকারীদের পাল্লায় পড়ে এই পাখিটি ক্রমশ কমতে শুরু করে। এই শিকারি পাখিটির প্রায় ২.৫ মিটার লম্বা ডানা আছে। ১৭৮০ সালে কালভার ক্লিফে এটিকে সর্বশেষ দেখা গেছে।
১৯১৮ সালের মধ্যে এই প্রাকৃতিক কার্যত বিলুপ্তির পথে এগিয়ে যায়। এসময় স্কটিশ শেটল্যান্ড আইল্যান্ডে অনেকগুলি পাখিকে মরা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ‘রয়েল সোসাইটি ফর প্রটেকশন অফ বোর্ড’ এর তথ্য অনুযায়ী, সামুদ্রিক ঈগলের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। তবে এই পাখিটি আবার ফিরে আসার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছে ফরেস্ট্রি ইংল্যান্ড এবং রয় জেনিস ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশন নামে এই দুটি সংস্থা । প্রায় দুই শতাব্দী পরে পাখিটি আবার ফিরে এসেছে। এই ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার রায় ডেনিস জানিয়েছেন, “আমি আমার জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটিয়েছি এই পাখিগুলোকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে। সেই পাখি কে এইভাবে আকাশে উড়তে দেখার মুহূর্তটা একটা অসাধারণ মুহূর্ত তৈরি করেছে আমার কাছে।”
আগের বছর গরমকালে ছটি বাচ্চা সাদা লেজের ঈগলকে আনা হয় এবং ছাড়া হয় ইংল্যান্ডের দক্ষিণাংশে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঈগলের যদিও অর্থাৎ ছেলে এবং মেয়ে ঈগল উত্তরে ‘ইওর্ক মুর ন্যাশনাল পার্ক’- এ থাকতে শুরু করে। সাধারণত ৫ বছর না হলে, তারা বংশবিস্তার করে না। তাই এই ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে, যে জুটি গুলোকে ছাড়া হয়েছে, তারা আবার নতুন শিশুর জন্ম দেবে এবং যার ফলে ঈগলের সংখ্যাটাও বাড়বে। বসন্তকালে সাধারণত নিজেদের মধ্যে ডাকাডাকি করে কিংবা আকাশের মধ্যেই নেচে নানান রকম ভাবে সঙ্গিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পুরুষ ঈগল।