করোনার থাবাতে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছেন পুরুষেরা। করোনাতে পুরুষের মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ। এই উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এসেছে। আর তারপরেই বিশ্বের তাবড় গবেষকরা এই রহস্য উদ্ঘাটনে নামেন। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ একমাস গবেষণা চালিয়ে এক ধরণের উৎসেচক শনাক্ত করেছেন। ওই উৎসেচক বেশি পরিমান থাকলেই বিপত্তি বাড়ছে।
গবেষকরা দেখেন যে এই বিশেষ উৎসেচকটি করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এটি পুরুষের শরীরের কোষগুলোকে বেশি করে আক্রমণ করে। আর মেয়েদের শরীরে এই উৎসেচকের পরিমান কম থাকায় করোনার থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে মেয়েরা। সংক্রমিত হলেও মেয়েদের মৃত্যুর হার অনেক কম।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেসের সাপ্তাহিক স্বাস্থ্য জার্নালে এই রিপোর্টই প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মানুষের কিডনি, হার্ট, ফুসফুস সহ অনেক প্রত্যঙ্গে আনজিওটেনসিন- কনভার্টিং নামক উৎসেচক থাকে। এই উৎসেচকটি করোনাকে ফুসফুসে ও দেহের অন্যান্য অংশে আক্রমণ করতে সাহায্য করে। এই উৎসেচক ফুসফুস, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে আক্রমণ করে। এছাড়া পুরুষের শরীরে টেস্টিকলেও উচ্চমাত্রায় এস-২ থাকে, এটি পুরুষের করোনাতে মৃত্যুর বিশেষ কারণ।
এরসাথে রিপোর্টে এটাও বলা হয়েছে যে যারা আনজিওটেনসিন রিসেপটর ব্লকারস-র ওষুধগুলো খান, তারা করোনাতে আক্রান্ত হলে তাদের এই ওষুধ করোনার ঝুঁকি অনেক কম থাকে। তাই ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্ট এই রোগগুলিতে আক্রান্ত এবং তার সাথে করোনা আক্রান্ত হলে এই ওষুধ বন্ধ করতে বারণ করা হয়েছে।