নিজস্ব সংবাদদাতা: কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের কড়া প্রতিক্রিয়ার পরও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে ভারত। জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর নয়াদিল্লির লক্ষ্য যে এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীর উদ্ধার করা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তা আকারে ঈঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক ডেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
রীতিমতো ‘বদলা নেওয়া’র উদ্দেশ্যেই দেশে ফেরত পাঠানো হয় পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে, বন্ধ করে দেওয়া হয় দু দেশের মধ্যে সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। এই অবস্থায় ভারত যাতে পুনরায় এয়ারস্ট্রাইক করতে না পারে সেই উদ্দেশ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয় পাক আকাশপথ।
গতকাল ইমরান খানের মন্ত্রী সভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানানো হয়, আগামী ৬ আগষ্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে পাক আকাশসীমা। বিদেশি উড়ান সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে, লাহোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ৮৬০০০ ফুটের নীচে বিমান ওড়ানো যাবে।
আফগানিস্তান থেকে আসা উড়ানগুলোকে রুট পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এমনই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের পর এয়ারস্ট্রাইক করেছিল ভারত। তখনও এভাবেই আকাশপথ বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এবারও এয়ারস্ট্রাইকেয় আশঙ্কা থেকেই আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পাক প্রশাসন।