কৌশিক পোল্ল্যে: করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত গোটা বিশ্ব। মহামারীর কবল থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে এবং মৃত্যুমিছিলের গতি শ্লথ করতে দিনরাত গবেষনায় লিপ্ত রয়েছেন বিজ্ঞানীরা, উদ্দেশ্য মারন ভাইরাস কোভিড-১৯ করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করা। এই সংক্রামক ব্যাধিকে চিরতরে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া সহ প্রথম সারির দেশগুলির পাশাপাশি গবেষনা চালিয়ে যাচ্ছে এদেশের বৈজ্ঞানিকরাও। ভারতে মৃত্যুসংখ্যা আড়াই হাজারের গন্ডি পেরিয়েছে ইতিমধ্যেই, বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরিতে অসমর্থ হলে এই তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশটি কতখানি করুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে রারে সেবিষয়ে যত কম আলোচনা করে সচেতন হওয়া যায় ততই মঙ্গল।
বর্তমানে ঈশ্বরের দূত হয়ে যারা দিনরাত এক করে প্রতিনিয়ত রোগীদের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন সেই সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব, তাদের উপরে পুপবৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা। তবুও ত্রুটিপূর্ন ভারতীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সঠিক সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপযুক্ত সুরক্ষার অভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন বহু চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা।
তাদের দুর্দশার কথা ভেবেই আরও একবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলেন কিং খান। শাহরুখের সংস্থা মীর ফাউন্ডেশনের তরফে পিপিই সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা কিট প্রদান করা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দিকটি বজায় রাখতে। এতে করে বহু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী শাহরুখ। অভিনেতা জানান, এই সমস্ত মানুষগুলির নিরাপত্তা সবার আগে দেখা দরকার, এরা সুস্থ থাকলেই আমরা পরবর্তীতে সুস্থ থাকব এবং সুদিনের সাক্ষী হতে পারব।
এর আগেও শাহরুখের সংস্থা মীর ফাউন্ডেশন এবং রেড চিলিজ এর উদ্যোগে বেশ কিছু রাজ্যের তহবিলে বড়সড় অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন শাহরুখ, তালিকায় ছিল পশ্চিমবঙ্গ, এবং এই সকল রাজ্যগুলির একশো জন অ্যাসিড আক্রান্তকে মাসিক বৃত্তি দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। এসবের পরেও শাহরুখ ও গৌরি তাদের চারতলাবিশিষ্ট অফিসটি ছেড়ে দেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে। দেশের স্বার্থে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্রমাগত সাহায্য করেই চলেছেন এই খানদান দম্পতি।