করোনা সংক্রমনে জর্জরিত গোটা বিশ্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল উন্নত দেশগুলিও। এবার এই মারণ ভাইরাসের জন্য দায়ী করে চীনকে ১৮ দফা প্রস্তাব পেশ করলেন এক মার্কিন সেনেটর। তাতে বলা হয়েছে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য চীনকে দায়ী করা উচিত।
থম তিলিস নামের ওই সেনেটর বলেন চীন সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যাচার এবং প্রতারণার মাধ্যমে এই মহামারীকে লুকোনোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়াও তিনি বলেন যে, চীন এমনই দেশ যারা নিজেদের নাগরিকদের শ্রমিকশিবিরে আটকে রাখে। শুধু তাই নয় চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকার প্রযুক্তি চুরি এবং শরিক রাষ্ট্রগুলির সার্বভৌমত্বকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।
এই প্রস্তাবে চীনের বিরুদ্ধে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেই সম্পর্কে বলা হয়েছে। আসুন জেনে নিই সেগুলি কি কি-
১. ভারত, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের কাছে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে।
২. চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদনকে ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে। এর ফলে চীনের ওপর সরবরাহ নির্ভরতা একেবারে সরে যাবে।
৩. প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য শীঘ্রই ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করতে বলা হয়েছে।
৪. চীন যাতে মার্কিন প্রযুক্তি চুরি করতে না পারে সেই জন্য মার্কিন সংস্থাগুলিকে আরও উন্নত হতে হবে।
৫. চীনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে সাইবার সিকিউরিটি আরো বাড়িয়ে তুলতে হবে।
৬. সমস্ত মিত্র রাষ্ট্রগুলিকে বলতে হবে যাতে তারা চীনা প্রযুক্তি সংস্থাকে নিষিদ্ধ করে।
৭. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের প্রচার বন্ধ করতে হবে। এছাড়া চীনের সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে অপপ্রচার হিসেবে গণ্য করে ঘোষণা করতে বলা হয়েছে।
৮. করোনাভাইরাস নিয়ে প্রতারণা করার জন্য চীনের বিরুদ্ধে সব রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
৯. জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করতে হবে। শুধু তাই নয় তাদেরকে আমেরিকার আক্রমণাত্মক সামরিক সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।
১০. ২০২২ সালে বেজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে শীতকালীন অলিম্পিকস। সেখান থেকে আমেরিকার নাম প্রত্যাহার করার কথা বলা হয়েছে।
১১. চীনের নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রমাণ সকলের সামনে তুলে ধরতে বলা হয়েছে।