কৌশিক পোল্ল্যে: নব্বইয়ের দশকে তার অনবদ্য নাচের স্টেপে মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিল সারা ভারতবর্ষের দর্শক। তৎকালীন সময়ে তার খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে পাকিস্তান সরকার এই অভিনেত্রীকেই তাদের দেশে নিয়ে যাবার দাবি পেশ করেন যদিও শেষমেশ তা হয়নি। শ্রীদেবীর পরবর্তী সময়ে বলিউডি ফিল্মে নাচকে প্রাধান্য দিয়ে ট্রেন্ড সেট করতে সক্ষম হয়েছিলেন এই ‘ড্যান্সিং কুইন’। আজ অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের ৫৩ তম জন্মদিন। নাচের জন্যই বলিমহলে আজও সসম্মানে পরিচিত এই অভিনেত্রীর অনবদ্য কয়েকটি নাচের ভিডিও নীচে সাজানো রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। চলুন দেখে নেওয়া যাক।
১) এক দো তিন: এই আইটেম নাম্বারটি ‘তেজাব’ সিনেমায় ব্যবহৃত হয়েছে। গানটির জনপ্রিয়তা নিয়ে আলাদা করে কিছুর বলার নেই। মোহিনীর নাচের তালে তালে আজও সমান লোকপ্রিয় এই গান।
২) ধক ধক করনে লাগা: অনীল কাপুরের বিপরীতে ‘বেটা’ সিনেমার এই গান রীতিমতো ব্লকবাস্টার প্রমানিত হয় মাধুরীর অসাধারন ঠুমকা ও ‘ধক ধক’ স্টেপের দৌলতে। এই গানের জন্যই মাধুরী বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ নামে পরিচিতি পান। পুরুষদের হৃদয়েও রীতিমতো ধক ধক স্পন্দন এনে দেয় এই গান।
৩) চোলি কে পিছে ক্যা হে: ‘খলনায়ক’ সিনেমার এই গানটি ‘কু কু কু কু’ সুরের কারনেই আজ পর্যন্ত বহুবার রিক্রিয়েট করা হয়েছে তবে মাধুরী ফিচার্ড এই প্রবীনতম ভার্সানটির গ্রহনযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি।
৪) দিদি তেরা দেবর দিওয়ানা: ১৯৯৫ এর ফ্যামিলি ফিল্ম ‘হাম আপকে হ্যায় কন’এ সলমান ও মাধুরীর কেমিস্ট্রি ছিল দেখার মতো। এই গানে গুলতি গিয়ে মাধুরীর কোমরে ফুল তাক করার স্টেপটি আজও অমলিন রয়ে গিয়েছে।
৫) কে সারা সারা সারা: ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল ও কত্থকের পাশাপাশি মাধুরী ওয়েস্টার্ন ড্যান্সেও কতখানি দক্ষ ছিলেন তার প্রমান মেলে ‘পুকার’ সিনেমার এই গানটিতে। প্রভু দেবার সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে মাধুরী নিজের জায়গা বুঝিয়ে দেন। গানটির সুরকার ছিলেন অস্কারজয়ী এ.আর রহমান।
৬) মার ডালা: ২০০০ এর অন্যতম সেরা ছবি সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ‘দেবদাস’। এই গানে মাধুরীর অসাধারন আঙ্গিকে দিওয়ানা হয়েছিলেন অগনিত ভক্তরা।
৭) ডোলা রে: ‘দেবদাস’ সিনেমার এই গানটি ভারতীয় সিনেমার একটি অন্যতম ক্রিয়েশন হিসেবে মনে করা হয়। ঈশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে মাধুরীর যুগলবন্দীতে গানের আবহাওয়া আরও জমে উঠেছিল।