অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে আছড়ে পড়বে আমফান। আগামী বুধবার বিকেলের দিকে পশ্চিমবঙ্গের দিঘা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২০ তারিখ ভোরবেলাতে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় থাকতে পারে ২০০ কিলোমিটার। তবে সন্ধেবেলা বেগ কিছুটা কমতে পারে। সন্ধেবেলা এর গতিবেগ কমে হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার।
২০১৩ সালের পর এই আমফান সবথেকে শক্তিশালী ও প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে আছড়ে পড়বে। ২০১৩ সালের ফাইলিনের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টাতে ২৬০ কিলোমিটার। যা ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল। ২০০৯ সালে আয়লার গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই ঝড় সুন্দরবনকে পুরো তছনছ করে দিয়েছিল। ২০১৯ সালে বুলবুলের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। এই ঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছিল।
মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনাও করেছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “বিপর্যয় মোকাবিলা কেন্দ্র এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলিকে এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।” রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও এই নিয়ে বৈঠক করেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সাথে।