কৌশিক পোল্ল্যে: ফিল্মসিটিতে ট্রেন্ড হিসেবে স্বল্প পোশাকের আবেদনময়ী লুক এবং সেই সঙ্গে জমজমাট আইটেম ড্যান্সের ঢল নেমেছে এ কথা এতদিনে কমবেশি সকলেই জেনে গিয়েছেন। ১৯৬৭তে প্রথমবার শর্মিলা ঠাকুরের প্রকাশ্যে বিকিনি পড়া নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। যদিও সময় বদলেছে, সেই সঙ্গে বদলেছে ছবির ধরন ও কনটেন্টের রদবদল। আজকের মৌনি, উর্বশী কিংবা দিশা পাটানিরা ক্যামেরার সামনে বিকিনি পড়ে নাচতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করেন না এবং আবেদনময়ী স্বল্প পোশাকের হট লুক সাদরে গ্রহন করেছেন দর্শকরা।
‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে ডেবিউ করেন আর এক বলিষ্ঠ ও লাস্যময়ী অভিনেত্রী নুসরত বারুচা। প্রথম ছবিতেই ‘ছোটে ছোটে পেগ মার’ আইটেম গানে ফাটিয়ে নেচেছিলেন অভিনেত্রী, মন ভরেছিল দর্শকদের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এক অ্যাওয়ার্ড শো এ তার আলগা হট গাউনে রীতিমতো অবাক হয়ে যান অনেকেই। এর থেকেই অভিনেত্রীর বোল্ড সত্ত্বার প্রমান পাওয়া গিয়েছিল।
কিন্তু প্রত্যেকেটি বাবার কাছেই তার মেয়ে রাজকন্যাস্বরূপ। প্রথম ছবিতেই আইটেম গানে নেচে সে খবর বাড়িতে জানাননি অভিনেত্রী। তার বাড়ির লোক যখন গানটি টিভির পর্দায় দেখেন তখন বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান সকলেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।
তিনি জানান, “প্রমোশন থেকে ফিরে দেখি বাবা মা টিভিতে ওই গানটি শুনছে। বাবা ধীরপদে আমার দিকে এগিয়ে দেল। টিভির চ্যানেল মিউট করে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘ইজ দ্যাট এ ব্রা? তুই ব্রা পরেছিস?’ আমি আস্তে করে বাবাকে বললাম, ‘না বাবা এটা ব্রালেট’। এটি ব্রা-এর মতোই একটি অন্তর্বাস তবে অনেক খানিকটা হালকা এবং আরামদায়ক।
সেদিন তার বাবা কি বুঝেছিলেন তা নিজেও জানেন না নুসরত। এরপর বাবা তাকে আর কিছু বলেননি, অভিনেত্রী নিজেও কথা বাড়িয়ে ঝামেলার সৃষ্টি করতে চাননি ফলে বিষয়টি সেখানেই স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ছবির মুক্তি ঘটলে তা সুপারহিট হয় এবং সেই সঙ্গে দর্শকদের ভালোবাসাসহ পরিবারের আদরে সবটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল।