গত মার্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, লকডাউনে কর্মীদের বেতন না দিলে বেসরকারি সংস্থা গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এর ফলে, এবার বেসরকারি সংস্থা গুলি কর্মীদের বেতন দিতে আর বাধ্য নয়, এমনকি ছাঁটাই করতেও তাদের আর কোনো সমস্যা রইলো না। একদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশিকার পরে বেসরকারি চাকুরিজীবীরা আরও সমস্যায় পড়লো অন্যদিকে যে সংস্থা গুলি লোকসান সামলে কর্মীদের বেতন দিতে পারছিলনা, তারা অনেকটাই স্বস্তি পেলো।
২৯শে মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশিকা তুলে নেওয়া হলো ১৭ই মে। ২৯শে মার্চে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়, যতদিন লকডাউন চলবে কোনো বেসরকারি সংস্থাই কর্মীদের বেতন কাটতে পারবে না। সমস্ত ছোট বড় সব সংস্থাই এই নির্দেশিকার আওতায় ছিল। সেই নির্দেশিকায় বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টে পিটিশন দাখিল করে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। গত শুক্রবার সেই পিটিশনের শুনানিতে সুপ্রীম কোর্ট জানায়, চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত কর্মীদের বেতন কাটলেও সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেনা। এই বিষয়ে সরকারের অবস্থানও জানতে চাওয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো নির্দেশিকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে একাধিক সংস্থা এবার কর্মীদের বেতন কাটতে পিছপা হবেনা। এসবের মাঝেই অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগি জানিয়েছে, লকডাউনে ব্যবসায় মন্দার কারণে তারা ১১০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে। আগামী কয়েক মাসে এমন কর্মী ছাঁটাইয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।