কৌশিক পোল্ল্যে: করোনার প্রকোপ এবার ঢুকে পড়ল টলিপাড়ার অন্দরে। এতদিন পর্যন্ত সুদূর হলিউড কিংবা বলিউড অবধিই পৌঁছে গিয়েছিল এর প্রভাব। এবার সরাসরি স্টুডিওপাড়ার একগুচ্ছ তারকার আবাসনে বসল করোনার থাবা। বর্তমানের এই পরিস্থিতিতে উক্ত আবাসনের সকলেই রয়েছেন দুশ্চিন্তায়, আতঙ্কের মধ্যে চলছে দিনযাপন।
বাইপাসের কাছে যে বিলাসবহুল আবাসনে থাকেন তারকারা সেখানেই এক বৃদ্ধ ব্যক্তির শরীরে পাওয়া গেল করোনার বীজ। বিলাসবহুল আবাসনটির বেশ কয়েকটি টাওয়ার রয়েছে, তারই একটির ৩১ তলায় থাকেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। সেই আবাসনের টাওয়ারেরই ৩৭ তলায় থাকেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী এবং ৩৯ তলায় বসবাস করতেন ওই পৌঢ়। গতকাল তার শরীরে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং তিনি আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
করোনা মোকাবিলায় গৃহবন্দি রয়েছেন সকলেই। আবাসনে আসতে পারছেন না কোনো ড্রাইভার, ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো পরিচারক, পরিচারিকাকেও। ভাইরাসের প্রকোপ রুখতেই নেওয়া হয়েছিল বাড়তি সতর্কতা। এমত অবস্থায় করোনা আতঙ্কে খানিক মনক্ষুন্ন হয়েই রাজ জানান, “আবাসনের সকলেই সব বিধিনিষেধ মেনে চলেন। দু একজন মানেন না। তাদের মধ্যেই একজনের হয়েছে। তার খামখেয়ালির জন্যই এই ঘটনা ঘটল। উনি প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরোতেন। কারও কথা শুনতেন না। ষাট উর্দ্ধে বয়স ওর। এভাবেই তো সংক্রমন বাড়তে থাকে। আমার বাড়িতেও বয়স্করা রয়েছেন। তাছাড়া শুভশ্রী অন্তঃসত্ত্বা। দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বাড়ি থেকে বেরনোই পুরো বন্ধ হয়ে গেল।”
যদিও এই কঠিন পরিস্থিতিতে যথাসম্ভব মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছেন রাজ। আক্রান্তের পরিবারকে যে কোনো অসুবিধায় সাহায্য করতে তিনি প্রস্তুত এবং সেইসঙ্গে পৌঢ় ব্যক্তিটির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। উল্লেখ্য শ্রাবন্তী সহ ওই আবাসনে বাস করেন রচনা ব্যানার্জী, পায়েল সরকার, পরিচালক অরিন্দম শীল প্রমুখ একগুচ্ছ টলিউড সেলেব।