দেশনিউজ

ভয়ংকর ‘আমফান’! কোন দেশ এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করলো?

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – একে করোনার থাবা, তারপরে প্রকৃতিও তার খামখেয়ালিপনা দেখিয়ে চলেছে। তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’। গরম কালে আম কথাটি শুনলে জিভে যতই জল আসুক, এর সঙ্গে কিন্তু ‘আমফান’ ঘূর্ণিঝড়ের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ নামকরণটা সম্পূর্ণ বিদেশী। একেকবার একেক দেশের উপরে দায়িত্ব পড়ে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করাতে। আর তখনই তারা তাদের ভাষা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে থাকেন। এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণটি করেছে থাইল্যান্ড। নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৯ এর ঘূর্ণিঝড়ের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছিল সেই তালিকাতে ‘আমফান’ শেষ নাম ছিল।

দুই দশক আগে ‘ইউনাইটেড নেশনস ইকনোমিক অন্ড সোশল কমিশন ফর এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক’- এর অধীনস্থ আটটি দেশ যথা ভারত, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে এই অঞ্চলের সাইক্লোন এর নামকরণ করবে এই দেশগুলি। ‘আমফান’ শব্দটির অর্থ ‘স্বাধীন চিত্ত’ ও ‘শক্তি’। নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকে। নাম এমন দিতে হবে যা সকলে সহজভাবে উচ্চারণ করতে পারে। নামের শব্দ এর সংখ্যা সর্বোচ্চ ৮ অক্ষরের বেশি হওয়া যাবে না।

ধেয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়। এর আগে অবশ্য ফনী, বুলবুল এর স্মৃতি রয়েছে সমুদ্র উপকূলবর্তী মানুষের মনে। আর বর্তমানে করোনার আতঙ্কে গোটা বিশ্বে যেন একেবারে ত্রস্ত হয়ে পড়ে আছে। তার মধ্যে এমন ঘোরতর বিপদ। প্রকৃতির তান্ডবলীলার কাছে আমরা প্রত্যেকেই অসহায়। তাই তার পাগলামো বন্ধ করার কোনো অস্ত্র আমাদের এখনও জানা নেই, তবে কি করে এর থেকে রেহাই পেতে পারি, তার পথ আমাদেরই বেছে নিতে হবে। সরকারি উদ্যোগ উপকূলবর্তী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো হয়েছে। তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকে এই মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত। এরকম পরিস্থিতিতে কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা / বিপদে যেন করিতে পারি জয়।’

Related Articles

Back to top button