আমফানের ধ্বংসলীলা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারিদিকে। বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এখনও কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের একাধিক জেলাতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, জল পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে। কলকাতার রাস্তায় চারিদিকে গাছ পড়ে রয়েছে, রাস্তা বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন এলাকাতে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে আগে থেকেই বলা হয়েছিল এই বিপর্যয়ের জের কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।
কলকাতার দক্ষিণের বেহালা, বাঁশদ্রোণী, কুঁদঘাট এই এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। এছাড়া উত্তর কলকাতার বাগমারী, উল্টোডাঙা, মানিকতলা সহ অন্যান্য এলাকাতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা ও হাওড়ার একাধিক এলাকাতে জল ও বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন মানুষেরা। জমায়েত সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু গরমের দাপট ও তো বেড়েছে ফলে মানুষ রাস্তায় বেরোতে বাধ্য হচ্ছে। বেশ কিছু এলাকাতে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
লকডাউনের জেরে গ্রাম থেকে গাছ কাটার লোক আনা যাচ্ছে না, ফলে সমস্যা আরো বেড়েছে। দ্রুত কাজ করা যাচ্ছে না। যদিও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পরের দিন থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রের ২৪টা দল কাজ করছে। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন কর্মীরাও আছেন। কিন্তু গ্রামের কর্মীরা না থাকায় এই কর্মীদের কাজ করতে অনেক সময় লাগছে। একেকটা গাছ কেটে সরাতে গড়ে ২ ঘণ্টা সময় লাগছে। আর শহরে গাছ পড়ে আছে কয়েক হাজার। তাই গোটা শহরকে আগের জায়গাতে ফেরাতে সময় লাগছে।