পরপর দু’বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো মণিপুরসহ চার রাজ্য

একই দিনে পরপর দু'বার কেঁপে উঠলো মণিপুর। এই জোড়া ভূমিকম্পের ফলে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। ন্যাশনাল সেন্টার সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম বারের কম্পন হয় সন্ধ্যা ৮ টা ১২…

Avatar

একই দিনে পরপর দু’বার কেঁপে উঠলো মণিপুর। এই জোড়া ভূমিকম্পের ফলে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। ন্যাশনাল সেন্টার সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম বারের কম্পন হয় সন্ধ্যা ৮ টা ১২ মিনিটে, রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৫.৫। জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল মইরাং শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০ কিলোমিটার গভীরে। এলাকাটি পড়ে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার ভিতরে।

এর ঠিক কিছুক্ষণ পরই দ্বিতীয় কম্পনটি অনুভূত হয়। সেই উৎসস্থলটিও ছিল মইরাং শহর থেকেই ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। রিখটার স্কেলে তীব্রতা হয় ২.৬। তবে শুধু মণিপুরই নয়, এর সাথে সাথে কেঁপে ওঠে মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, গুয়াহাটি এবং অসমের বেশ কিছু অংশ।

এই জোড়া কম্পনের ফলে মুহুর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। এই বিষয়ে বিষ্ণুপুরের নিংথোউখং শহরের এক বাসিন্দা বলেন, “হঠাৎ করেই দুলে ওঠে চারিদিক। বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন সকলে। প্রথমবার কম্পনের কয়েক মিনিট পরই দ্বিতীয়বার কম্পন অনুভূত হয়।”

এই ঘটনার চারদিন আগেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মণিপুর। তখন কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৬ এবং উৎসস্থল ছিল উখরুলের পূর্বদিকে ৪৩ কিলোমিটার গভীরে। উল্লেখযোগ্য, গত এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে। শুধুমাত্র দিল্লীতেই ১২ই এপ্রিল থেকে ১৫ই মে এর মধ্যে চার বার ভূমিকম্প হয়েছে। তবে তীব্রতা কম থাকায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ১৮ই মে হিমাচল প্রদেশের চম্বায়ও ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।