শ্রেয়া চ্যাটার্জি – ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ছোট দল তারা বিশ্বকে সবুজায়নের উদ্দেশ্যে একটা ছোট্ট উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ পরবর্তীকালে যে কত বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে তা হতো তারা জানেন। তাদের এই ধরনের সংস্থাটির নাম “reduce. reuse. grow.” কফি খেতে আমরা কেনা ভালোবাসি আর পাশ্চাত্য দেশে কফি খাওয়ার প্রচলনটা মনে হয় আমাদের দেশের থেকে অনেকটাই বেশি। কফি খেয়ে কফির কাপ আমরা এদিক ওদিক ফেলে দিয়ে কিংবা ডাস্টবিনে ফেলি। তবে এবারের ডাস্টবিনে নয়, সে রকম জায়গা বুঝে ফেললে সেই কফির কাপ থেকে বেরিয়ে যাবে নতুন নতুন গাছের চারা।
আপনি হয়তো ভাবছেন এই বীজগুলো কোথায় থাকে? কফি কাপের গায়ে বীজ গুলি লাগানো থাকে। কফি খেয়ে কোন খোলামেলা জায়গায় ফেলে দিলেই কেল্লাফতে। সেই বীজগুলো থেকে অঙ্কুরোদগম হবে। এই কোম্পানির কর্মকর্তা এলেক্স হেনিগ জানিয়েছেন, “কফি খাওয়ার জন্য আমরা সবসময় এই কাগজের কাপ ব্যবহার করি। আর এই কাগজের কাপ এর মধ্যে রাখা গাছের চারা যা পরবর্তীকালে পরিবেশ পরিশুদ্ধ হতে বা সবুজায়নের অনেকটাই সাহায্য করবে। আর কাপগুলি পরিবেশবান্ধব হওয়ায় সহজে মাটির সঙ্গে মিশে যায়।”
প্রতি বছর প্লাস্টিকের কাপের ব্যবহারের ফলে পৃথিবীর উপর প্লাস্টিকের একটা আবরণ তৈরি হয়েছে। শুধু প্লাস্টিকের কাপ নয়, প্লাস্টিকের তৈরি নানান রকম জিনিসপত্র ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। তার জায়গায় আমাদের ব্যবহার করা উচিত পরিবেশবান্ধব উপাদান। যা দিয়ে আমাদেরও কাজটা হবে, আর আখেরে পরিবেশেরও খানিকটা লাভ হবে। প্রতি বছর যে পরিমাণ কফি খাওয়া হয় এবং কফির কাপ ডাস্টবিনে জমা হয় সেই পরিমাণ কফির কাপ থেকে যদি গাছ জন্মায়, তাহলে পৃথিবী আবার শস্য-শ্যামলা সবুজ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তবে এটা সমস্ত বিশ্বে প্রচলন হওয়াটা খুব প্রয়োজন। কারণ এখন প্রত্যেকটা দেশেরই একটা সাধারণ সমস্যা হল সবুজের অভাব।