রাজীব ঘোষ : পূজোর আগেই যাতে সারদাকাণ্ডে চার্জশিট দেওয়া যায়, সিবিআই সেই চেষ্টা করছে।সারদার টাকা প্রভাবশালীদের কাছে কীভাবে পৌঁছেছিল,তার পরিমাণ কত,সেটা খুঁজে বের করাই সিবিআইয়ের মূল লক্ষ্য।সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা যথেষ্ট প্রয়োজন।তাই সারদাকাণ্ডে তদন্তের জন্য এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিল।শুক্রবার ডেরেক ও ব্রায়েন সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিয়েছেন।
এর আগেও ডেরেককে সিবিআই জেরা করতে ডেকে পাঠিয়েছিল।তিনি সংসদে অধিবেশনে ব্যস্ত থাকার জন্য এতদিন সিবিআইয়ের সামনে উপস্থিত হতে পারেন নি বলে জানিয়েছেন।ডেরেক অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্র তাকে সিবিআইয়ের সাহায্যে বারবার আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে।যেহেতু তৃণমূল আরটিআই অ্যামেন্ডমেন্টের বিরোধিতায় সরব হয়েছে তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।বৃহস্পতিবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়।সারদার টাকা ফেরত দিতে চেয়ে তিনি ইডিকে চিঠি দিয়েছেন।
সেই ব্যাপারে তিনি এসেছিলেন বলে জানা যায়।সারদা সহ বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলিকে ঘুরপথে আমানতকারীদের থেকে টাকা তুলতে কোন কোন রাজনৈতিক নেতারা প্রভাব খাটিয়েছিলেন এবং এই বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রচার মাধ্যমগুলি থেকে অহরহ প্রচার পেয়েছিলেন সেটাও সিবিআইয়ের অফিসাররা তদন্তের আওতায় রেখেছেন।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের জেরা করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই সিবিআই খুব শীঘ্রই চার্জশিট জমা দেওয়ার লক্ষ্যে তৃণমূল নেতাদের বারবার ডেকে পাঠাচ্ছে।সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ রাজ্যের মমতার সরকারের কাছে বড় ধাক্কা।