সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রমোদী মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেছেন। এই বৈঠকে সরকারি সূত্র মারফৎ খবর, দেশের জন্যে কোনও “ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত” নেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের শাসনকালের প্রথম বছর পূর্ণ করেছেন। আর দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হবার একবছর পর এই প্রথম তিনি কোনও ক্যাবিনেট বৈঠকে বসছেন। জানা গেছে, তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে নিরাপত্তা সম্পর্কিত মন্ত্রিপরিষদ কমিটি এবং অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের যে অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছে তা নিয়েই আলোচনা করতে পারেন। এর পাশাপাশি লকডাউনের “আনলক ওয়ান” এর পরে ফের একটি অর্থনৈতিক পুনর্জ্জীবন প্যাকেজ নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
এদিকে সোমবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে’আনলক ওয়ান’, এই প্রথম ধাপে অর্থনীতির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের গাইডলাইন। লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতি তলানিতে এসে ঠেকেছে। গত সপ্তাহেই জিডিপি সংক্রান্ত যে তথ্য প্রকাশ হয়েছে, সেখানে গত ১১ বছরের মধ্যে ভারতে এবারে সবচেয়ে ধীর গতির বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। এই লকডাউনের জেরে কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী গত এপ্রিল মাসেই প্রায় ১২ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
গোটা বিশ্বকেই করোনাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁচতে হবে। তাই এর মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে ফের চাঙ্গা করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই লকডাউনের পঞ্চম দফাতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে ২০০ টি দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা। এছাড়া চতুর্থ দফাতে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। এছাড়া বাস, ট্যাক্সি, ক্যাব ও চালু করা হয়েছিল। করোনা আবহের মধ্যেই ধীরে ধীরে অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।