লকডাউনের মাত্রা শিথিল করতেই ক্রমশ ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে ভারত। প্রতিদিনই যেন রেকর্ড ভেঙে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী মাত্র একদিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মাঝে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো চীন। মারণ ভাইরাসের জন্মদাতা এই দেশের বিশেষজ্ঞরা দাবী করেছেন যে, জুনের মাঝামাঝি খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হবে। এক এক দিনে আক্রান্ত হতে পারেন ১৫ হাজার জন মানুষ।
উল্লেখযোগ্য, গোটা বিশ্বের মোট ১৮০ টি দেশের করোনা পরিস্থিতি দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য চীনের লানঝাউ বিশ্ববিদ্যালয় ‘Global Covid-19 Predict System’ তৈরি করেছে। এখানকার গবেষকরা ভারতের জন্য আগামী চারদিনের একটি করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফ প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, আগামী বুধবার থেকে পরবর্তী চারদিন আক্রান্তের সংখ্যা হবে যথা- ৯,৬৭৬, ১০,০৭৮, ১০,৪৯৮ এবং ১০,৯৩৬ জন। শুধু তাই নয় উদ্বেগ বাড়িয়ে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫ হাজারে।
এই বিষয়ে লানঝাউ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে হুয়াং জিয়ানপিং জানিয়েছেন, “আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, ২৮শে মে ভারতে ৭,৬০৭ জন আক্রান্ত হতে পারেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেদিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭,৪৬৭। যা আমাদের দেওয়া তথ্যের সাথে অনেকটাই মিলে গেছে। আগামী দিনেও এর ব্যতিক্রম হবে না।”
ইতিমধ্যেই ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষ ছাড়িয়েছে। যদিও সুস্থ হওয়ার হার সন্তোষজনক, তবুও ক্রমাগত এই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে সাধারণ মানুষদের। তবে লকডাউন শিথিলই এরজন্য দায়ী কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন গবেষকরা। জনসংখ্যা, কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা এবং আবহাওয়া ভাইরাসের সংক্রমণে প্রভাব বিস্তার করে। এছাড়াও পর্যাপ্ত মাত্রায় সামাজিক দূরত্ব না বজায় রাখা এই সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ।