পঞ্চম দফার লকডাউন বা আনলক ১ এ সমস্ত ধর্মীয় স্থানের দরজা ভক্তদের জন্য খুলবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্দেশের পর আগামী ৮ই জুন থেকে খুলে যাচ্ছে অনেক মন্দির, মসজিদ, গীর্জার দরজা। কিন্তু সম্পূর্ণ করোনা বিধি মেনেই খুলতে হবে মন্দির, মসজিদ, গীর্জা। ভক্তদের পাশাপাশি সমস্ত নিয়ম মানতে হবে ধর্মস্থান কতৃপক্ষকেও। সি বিষয়েই বৃহস্পতিবার একটি সম্পূর্ণ গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে কোনো ধর্মীয় স্থানে কি নিষিদ্ধ আর কি করা যাবে তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
জেনে নিন নতুন নিয়মগুলি-
১. ধর্মস্থানের প্রবেশের মুখে স্যানিটাইজার রাখতে হবে। থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। মাস্ক পরা না থাকলে ধর্মস্থানের ভিতরে প্রবেশ করা যাবেনা।
২. বিগ্রহ বা পবিত্র গ্রন্থ কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। দূর থেকেই আরাধ্য দেবতার দর্শন করতে হবে।
৩. অনেক মন্দিরে কপালে টিকা লাগানোর রীতি আছে, এবার থেকে তা আর করা যাবেনা।
৪. মন্দিরে হাতে হাতে প্রসাদ বিতরণ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ। একইসাথে বন্ধ চরণামৃত দেওয়া এবং শান্তির জল ছিটানোও।
৫. ধর্মস্থানে সেই সমস্ত ভক্তই প্রবেশ করতে পারবে যাদের করোনার কোনো লক্ষণ নেই, একসঙ্গে অনেক ভক্ত প্রবেশ করতে পারবেনা ধর্মস্থানে।
৬. ধর্মস্থানে করোনা সম্পর্কে ভক্তদের সচেতন করতে পোস্টার, স্ট্যান্ডি ইত্যাদি রাখতে হবে।
৭. মন্দির বা মসজিদের ভিতরে একজনের থেকে আর একজনের দূরত্ব কমপক্ষে ৬ ফুট হতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাগ কেটে দেওয়া যেতে পারে। মন্দির, মসজিদের বাইরেও ভিড় সামলানোর জন্য কতৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব সব ক্ষেত্রেই মেনে চলা বাধ্যতামূলক। ধর্মস্থানের বাইরের দোকান, স্টল থাকলে সেখানেও যাতে বেশি ভিড় না হয় মন্দির কতৃপক্ষকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
৮. দল বেঁধে ভক্তিমূলক সঙ্গীত করার নিয়ম এখন বন্ধ থাকবে। সেক্ষেত্রে ক্যাসেটে গান বাজানো যেতে পারে।
৯. মন্দির, মসজিদ সংক্রান্ত কোনো মেলা বা জমায়েত সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ।
১০. অনেক মন্দিরে লঙ্গরখানা থাকে। সেখানেও পর্যাপ্ত সামাজিক দূরত্ব এবং সুরক্ষা বিধির সাথে কাজ করতে হবে।