শ্রেয়া চ্যাটার্জি – বাঙালি মাছ খেতে ভালোবাসে না, তা হয় না। কথাতেই আছে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। তবে অনেকেরই মাছের সব অংশ খেতে পছন্দ হয় না। বেশিরভাগই মাছের পেটি খেতে পছন্দ করেন। তার একটি কারণ হতে পারে, এই অংশে মাছের কাঁটা অনেক কম থাকে। আর থাকলেও কাঁটা গুলো বেশ বড় বড় সহজেই বার করা যায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ প্রত্যেকেরই রোজ খাদ্যতালিকায় মাছ থাকা ভীষণ জরুরী। মাছ শরীরকে তৈরি করতে সাহায্য করে। আজ আমাদের খাবারের তালিকায় রয়েছে ‘মাছের পেটি ভাপা’। এই রান্নাটি খুব একটা আধুনিক যুগের রান্না নয় বরঞ্চ পুরাতন রান্নাঘরেও এই রান্নার বেশ কদর ছিল। তবে আজকের যুগে সময় বাঁচাতে বা নতুন গৃহিণীরা যারা রান্না এখনো পটীয়সী হয়ে উঠতে পারেননি, তারা সহজেই রাঁধতে পারেন ‘মাছের পেটি ভাপা’। বাড়িতে মাইক্রোওয়েভ থাকলে কিংবা না থাকলেও কড়ার মধ্যে জল গরম করে একটি সামান্য স্টিলের টিফিন বক্সে হয়ে যেতে পারে দুর্দান্ত এই রেসিপিটি।
উপকরণ : মাছের পেটি, হলুদ গুঁড়ো, সরষে বাটা, সরষে তেল, কাঁচা লঙ্কা, ধনেপাতা বাটা, নুন, সামান্য মিষ্টি, সাজানোর জন্য গোটা কাঁচা লঙ্কা
প্রণালী : যদি মাইক্রোওয়েভে করেন তাহলে একটি মাইক্রোওয়েভ প্রুফ জায়গা নিয়ে সেখানে মাছের পেটি গুলি সুন্দর করে নুন, হলুদ মাখিয়ে রাখতে হবে। তারপর সেই কাঁচা মাছের পেটি গুলোর ওপরেই সরষে বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, সরষের তেল, নুন এবং অল্প চিনি দিয়ে ভালো করে ঢাকা দিয়ে মাইক্রোওয়েভে ৫ মিনিট হতে দিতে হবে। মাইক্রোওয়েভ থেকে বার করে ঢাকা খুলে লঙ্কা বাটা এবং ধনেপাতা বাটা যোগ করে মাছ গুলিকে খানিকটা উল্টে পাল্টে দিয়ে আরও ২-৩ মিনিটের জন্য দিয়ে দিতে হবে।
তারপর আবারও বার করে মাছ গুলিকে উল্টে পাল্টে দিয়ে আবারো দু – তিন মিনিটের জন্য মাইক্রোওয়েভে দিতে হবে। এরপরে তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন ‘মাছের পেটি ভাপা’। যাদের বাড়িতে মাইক্রোওভেন নেই, তারাও এই রেসিপিটি সুন্দরভাবে বানাতে পারেন। কড়ার মধ্যে ভর্তি করে জল দিতে হবে। তারপর একটি টিফিন বক্সের মধ্যে মাছ এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে টিফিন বক্সের মুখ ভালো করে বন্ধ করে করার জলের ওপরে বসিয়ে দিতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, জলের পরিমাণ এমন হতে হবে যাতে টিফিন বক্স ডুবে না যায়। টিফিন বক্সের ওপর ভারী কিছু একটা চাপা দিয়ে রাখবেন। ১০-১৫ মিনিট ভাবে হওয়ার পরে গরম গরম পরিবেশন করুন ‘মাছের পেটি ভাপা’।