আগে থেকেই ভক্তদের কথা মাথায় রেখে পুরীর মন্দিরে বন্ধ রয়েছে তাঁদের প্রবেশ। ইতিহাসে প্রথমবার ভক্ত ছাড়াই পালিত হয়েছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। এরপর জানান হয়েছে, রথযাত্রার অনুষ্ঠানেও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না ভক্তদের। রথযাত্রার সমস্ত নিয়ম পালন করবেন মন্দিরের সেবায়েতরাই। কিন্তু এরই মাঝে ওড়িশা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে, যাতে বলা হচ্ছে করোনার সংক্রমণের জেরে এবছর পুরীতে রথযাত্রা যেনো পালন করা না হয়।
ইতিমধ্যে তিনটি রথের চাকা তৈরির কাজের প্রস্তুতি তুঙ্গে। পুরোদমে কর্মীরা কাজ করছেন রথ তৈরির। তবে ওই আবেদন জমা পড়ার পর যে শুনানি হয় তার শেষে ওড়িশা হাইকোর্টের তরফে জানান হয়েছে, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। সরকারের উপর সিদ্ধান্তকে ছাড়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে রথযাত্রার সেবার জন্য ২,২০০ জন সেবায়েত রয়েছেন। সরকারের কাছে তাঁদের দাবি মন্দিরের কাজকর্ম করতে গিয়ে যাতে করোনা ভাইরাসে সেবায়েতরা আক্রান্ত না হন সেই জন্য তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেনো হোমিওপ্যাথি ইমিউনিটি বুস্টার ওষুধ দেওয়া হয়। এবার রথযাত্রা হবে কিনা সে বিষয়ে সম্পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারকে দিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট।