খুব শীঘ্রই খাবার পাতে পড়বে ইলিশ। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দিঘার সমুদ্রে নামছে মৎস্যজীবীদের ট্রলার। প্রায় ১০০ দিন পর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। বহুদিন পর সরকারি সব বিধিনিষেধ কাটিয়ে মাছ ধরতে যাবেন মৎস্যজীবীরা। এমনিতেই বর্ষা প্রায় বঙ্গে ঢুকে পড়েছে। এখন ইলিশ মাছ পাতে না পড়লে বাঙালির ঠিক খাবার জমবে না। তাই ইলিশের নানা সুস্বাদু ও জিভে জল আনা রেসিপির জন্য অপেক্ষা করছে বঙ্গবাসী।
এদিকে দীর্ঘদিন লকডাউন চলতে থাকায় সমুদ্র দূষণমুক্ত হয়েছে। আর ইলিশের দল এইসময় প্রজনন ক্ষমতা বাড়িয়ে বংশবৃদ্ধিও অনেক করে ফেলেছে। আর এই লকডাউনের ফলে চোরা শিকারিরা খোকা ইলিশ ও ধরতে পারেনি। ফলে এবছর ইলিশ মাছের সাইজ ও অনেক বড় থাকবে। একেবারে পরিপুষ্ট ইলিশ খেতে পারবে বাঙালিরা।
দিঘাতেও এখন অনেক ইলিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন ইলিশ বিশেষজ্ঞরা। মাঝে মাঝেই সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে দেড় কেজি ওজনের জ্যান্ত ইলিশ আসছে। এবছর কিন্তু দামেও সস্তা হবে ইলিশ। কারণ বিদেশে রফতানি করা যাবে না, তাই দেশ বাজারের দিকে বেশি জোর দেওয়া হবে। ফলে সস্তায় মিলবে। আগামী ১৫ জুন থেকে মৎস্যজীবীরা বেরোবেন। আর তারপরেই বাঙালির পাতে পড়বে লোভনীয় ইলিশের নানাবিধ রেসিপি। জমিয়ে খাবে বাঙালিরা। ভোজনরসিকদের জন্য সব দিক থেকেই লেভার হবে এবারের ইলিশ মাছ।