করোনা ভাইরাসের জেরে নাজেহাল অবস্থা গোটা বিশ্বে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এই জীবাণুর জেরে শিরে সংক্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে দেশগুলির অর্থনীতি থেকে খাদ্যস্তরে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ জানিয়েছেন, “করোনা যে পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে গোটা বিশ্বকে তাতে এখনই শক্ত হাতে সব হাল না ধরলে আগামীদিনে ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দেবে। যার প্রভাব শিশু থেকে বয়স্ক সকলের মধ্যেই পড়বে”।
করোনার জেরে দেশগুলিতে দিনের পর দিন যে লক ডাউন পর্ব চলেছে তার ফলে কৃষিজমির ফসল জমিতে পড়েই নষ্ট হয়েছে। গাড়ি চলাচল ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ফসল পৌঁছোনো সম্ভব হয়নি। যার ফলে অনেকের ঘরেই পৌঁছোয়নি খাবার। আর ফসল নষ্ট হওয়ার ফলে বেড়েছে ফসলের দাম। দেশে বহুদিন যাবৎ কর্মক্ষেত্রগুলি বন্ধ থাকায় দেশের অর্থনীতিতে টান পড়েছে। যার ফলে মূল্যবৃদ্ধির অভিশাপও একটি বড় কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের মতে, ” খাদ্য পণ্য মজুত আছে প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের। কিন্তু খাদ্যবন্টন ব্যবস্থা লক ডাউনের জেরে এমনভাবে ভেঙে পড়েছে যার ফলে খাবার পৌঁছাতে পারেনি মানুষের ঘরে”।
যার ফলে এখন যদি আফ্রিকার গরিব দেশগুলিতে ছাড়াও উন্নতশীল দেশগুলিতে যদি নাগরিকেরা দুবেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খান তবে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারন করোনা ভাইরাসের জেরে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৫০ বছরের মধ্যে সবথেকে ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বিশ্ব জুড়ে। রিপোর্ট বলছে, খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ১০ শতাংশ মানুষ খাদ্য সংকটের মধ্যে পড়বেন।