ডিপ্রেশন বা মানসিক অবসাদ একজন মানুষকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে, সেটার প্রমাণ মিলল অভিনেতার এই আত্মহত্যার ঘটনাতে। ঠিক কি হয়েছিল বা কি ঘটেছিল সুশান্তের জীবনে তা সবার অজানা। আর এই কারণ অজানা বলেই অকালে চলে যেতে হল একজন প্রতিভাবান অভিনেতাকে। যিনি একজন ভালো অভিনেতার সাথেই ছিলেন একজন ভালো মানুষ ও। মাত্র ৩৪বছরেই তাঁর জীবনের পাতায় দাড়ি বসল।
সুশান্ত যখন আত্মহত্যা করেছিলেন, তখন তাঁর আপার্টমেন্টের মধ্যে আরও চারজন ছিলেন। দুজন কুক, একজন পরিচারক ও একজন বন্ধু। কিন্তু কেউ কিচ্ছু টের পায়নি। এমনকি সুশান্তের মধ্যে কোনো সন্ধেহজনক প্রবণতাও দেখা যায়নি। রবিবার অনেক সকালে ওই সাড়ে ৬ টা নাগাদ ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। তারপর ৯ টা নাগাদ দিদির সাথে খুব অল্প সময়ের জন্য ফোনেও কথা বলেন। তারপর ১০ টার সময় ফলের রস চেয়ে খান পরিচারকের থেকে। আর তারপর একটু ঘুমোবেন বলে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
এর কিছুক্ষন পরেই পরিচারক দরজাতে গিয়ে ধাক্কা দিয়ে ডাকেন, কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। আবার ঠিক ১২ টা নাগাদ পরিচারক এসে ডাকেন, তখনও সাড়া না পাওয়া যাওয়াতে সে ঘাবড়ে গিয়ে সুশান্তের দিদিকে ফোন করেন। তারপর দিদির কথা মত চাবিওয়ালাকে ডেকে আনা হয়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকেও। দরজা ভেঙে দেখা যাই ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন অভিনেতা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘হ্যাংগিং’-র জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। তাঁর শরীরের কোনো অঙ্গে বিষ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ঠিক কি কারণে অভিনেতা এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করছেন। শেষ কয়েক ঘন্টা তিনি কার সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন, কি করেছিলেন সব কিছুর তদন্ত করছেন মুম্বাই পুলিশ।