করোনার প্রতিষেধক হিসাবে অন্যতম হল ফ্যাভিপিরাবির। শনিবার এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাবির উৎপাদন ও বিপণনের অনুমোদন পেয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। শুক্রবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার করোনার সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসাবে ”জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য” এই ওষুধটিকে অনুমোদন করেছে বলে জানা গেছে। শনিবার গ্লেনমার্ক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এই ওষুধ আগামী সপ্তাহে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। আর এই মাসের শেষের দিকে প্রেসক্রিপশন দেখলে ওষুধের দোকানে ওষুধ মিলবে।
এই ওষুধ ব্যবহার প্রসঙ্গে একজন চীন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন যে এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাবির ব্যবহার করে ৯১ শতাংশ রোগীর ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি হতে দেখা গিয়েছে। আবার জাপানের রোগীদের ক্ষেত্রেও এই ওষুধ ব্যবহারের পর সাফল্য এসেছে। ১৪ দিনের মধ্যে ৮৮ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। জাপানেই এই ওষুধটি তৈরী করা হয়েছিল। আর এই ওষুধটিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
বর্তমানে এই ওষুধটি ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালি, চীন, ফ্রান্স, অন্যান্য দেশের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। চিনে এই ওষুধটি ৩৪০ জন রোগীর মধ্যে প্রয়োগ করা হলে ভালোই সফল হয়েছিল এই ওষুধ। ভারতে এই মাসের শেষে ওষুধ পাওয়া যাবে। প্রতি ট্যাবলেটের দাম হবে ১০৩ টাকা।