আজ শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। জনসমাগম বাদ দিয়ে যেন রথযাত্রার অনুমতি হয় তাই সুপ্রিম কোর্টের কাছে সোমবার আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের এই আর্জিতে সবুজ সংকেত দিল সুপ্রিম কোর্ট। রথযাত্রার সাথে বহু মানুষের ভক্তি ও বিশ্বাস জড়িয়ে আছে। যদি আগামীকাল জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব না ঘটে তাহলে আগামী ১২ বছর সেক্ষেত্রে প্রভুর দর্শন হবে না। আর যার ফলে ধর্মীয় রীতিতে আঘাত হতে পারে, এমনটাই বলেছেন কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন। আর তারপরেই সোমবার রাত ৯ টা থেকে ২৪ জুন দুপুর ২ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। রথের সময় ভিড় এড়ানোর জন্য এবারে পুরো শাটডাউন করা হবে পুরী। সমস্ত প্রবেশ ও বেরোনোর পথ বন্ধ রাখা হবে। রাস্তায় যান চলাচল ও করতে পারবে না।
এবারের রথযাত্রায় বিশেষ কিছু নিয়ম ও বেঁধে দেওয়া হবে। প্রত্যেককে মাস্ক পরে থাকতে হবে। যদিও জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার দিনে পুরীর সেবায়েতদের মুখে মাস্ক ছিল না বলে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। এবার রথ টানবেন মাত্র ১৫ হাজার সেবায়েত। এদের মুখে মাস্ক থাকবে। এদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। এবছর ও তিন কিলোমিটার রাস্তা চলবে রথ। কিন্তু বাড়ির ছাদ বা হোটেলের ছাদ থেকে রথযাত্রা দেখা একদম বন্ধ। সকাল ৭ টা রথ বসানো হবে জগন্নাথকে। আর বেলা ১২ টাতে শুরু হবে রথযাত্রা।