আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, জিনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ফের নয়া রূপ করোনা
ফের নিজেকে বদলে ফেলছে নোভেল করোনা ভাইরাস। এতদিন বিশ্ব জুড়ে যে করোনা ভাইরাসের উপদ্রব দেখা গিয়েছে এবার সেই ধরন বদলে করোনা নিজেকে পরিবর্তন করছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। যে করোনা ভাইরাসের হদিশ মেলে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তার জিনগত গঠন ছিল চিনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের মতো। কিন্তু সম্প্রতি ফিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের এগন অজার স্থানীয় রোগীদের শরীরে দেখেন সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনের সমন্বয়ে গঠিত করোনা ভাইরাস।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগের করোনা ভাইরাসের পৃষ্ঠে প্রোটিনের গঠন ব্লক হিসেবে প্রায় ১৩০০ অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকত। কিন্তু সম্প্রতি হদিশ পাওয়া নয়া জিনগত গঠনের করোনায় পরিবর্তনের ফলে ভাইরাসে অ্যামাইনো অ্যাসাইড ৬১৪। তাজ্জব ব্যাপার হলো, জিনগত গঠন পরিবর্তনের ফলে অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রকার ডি থেকে জি হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। আর এই করোনার প্রবেশ মানব শরীরে সম্ভব হয় স্পাইক প্রোটিনের ফলে। আর এই প্রোটিনের পরিবর্তন ঘটছেও স্পাইক প্রোটিনে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, জিনগত গঠনের পরিবর্তনের যে নয়া করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে তা জি-অ্যামাইনো অ্যাসাইড। আর এই জিনের ভাইরাস আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্ব জুড়ে। পরিবর্তনের ফলে এই করোনা ভাইরাস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত পরিবর্তনের ফলে স্পাইক প্রোটিনের গঠনে পরিবর্তন ঘটছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভাইরাসের সংক্রমণ সম্পর্কে অবগত হলেই এর বিরুদ্ধে লড়াই করা সহজ হবে।