করোনা টীকা আবিষ্কারের সম্ভাবনায় ঊর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজার
লকডাউন কেটে গিয়ে পুনরায় সবকিছু স্বাভাবিক হওয়া শুরু হতেই আবার উত্থান শুরু হলো শেয়ার বাজারের। আজ বাজার খোলার সাথে সাথেই সেনসেক্স ৫৮১পয়েন্ট বাড়ে।
করোনা ভাইরাসের জন্য দীর্ঘদিন দেশ জুড়ে জারি ছিল লকডাউন। আর এই লকডাউনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে পতন ঘটেছিল শেয়ার বাজারের। লকডাউন কেটে গিয়ে পুনরায় সবকিছু স্বাভাবিক হওয়া শুরু হতেই আবার উত্থান শুরু হলো শেয়ার বাজারের। আজ বাজার খোলার সাথে সাথেই সেনসেক্স ৫৮১পয়েন্ট বাড়ে। ৫৮১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬,৬০৩ পয়েন্টে। সেনসেক্সের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিফটিও। ১৮৬ পয়েন্ট বেড়ে নিফটি পৌঁছেছে ১০,৭৯২ পয়েন্টে। বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা থাকলেও এই মুহূর্তে এশিয়া ও আমেরিকার প্রায় সমস্ত দেশের শেয়ারবাজারই যথেষ্ঠই চাঙ্গা।
গত শুক্রবারই ৩৬ হাজারের গন্ডি পার করে সেনসেক্স। এর আগে সেনসেক্স লগ্নিকারীদের বিনিয়োগে ভর করে টানা বেড়ে ৪২ হাজারের গন্ডি পার করে যায়। কিন্তু লকডাউনের সময় এক ধাক্কায় ২৫ হাজারে নেমে আসে সেনসেক্স। সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাজার। আজ এইচডিএফসি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির ভালো ফলের কারণে শেয়ার বাজার এতটা উঠেছে। তবে শেয়ার বাজারের এই সাম্প্রতিক উত্থানের পিছনে অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সম্ভাবনার কথা।
কয়েকটি সংস্থা জানিয়েছে খুব শীঘ্রই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হতে চলেছে। ইতিমধ্যেই টীকার খোঁজে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। অনেকেই মনে করছেন আর কয়েকমাসের মধ্যেই বাজারে চলে আসবে করোনার ভ্যাকসিন। সেই খবরে ভর করেই বাজার বাড়ছে প্রতিদিন। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। তবে এই মুহূর্তেই যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে এমন কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।