সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ ছিল বাইশ গজের লড়াই। তবে সাউদাম্পটনের এজেস বোলে ১১৭ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে। কিন্তু বেশ কিছু পরিবর্তনসহ শুরু হবে ইংল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই টেস্ট সিরিজটি। ৫ দিনের বদলে ২ দিন চলবে এই লড়াই। জানা গিয়েছে, রিজার্ভ খেলোয়াড়রাই করবেন বল বয়ের কাজ এছাড়া পার্সোনাল প্রোটেকটিভ গিয়ার পরেই সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররা ম্যাচ কভার করবেন।
দর্শক শূন্য স্টেডিয়াম ও সুরক্ষিত পরিবেশে অভিনব এই ম্যাচ চলাকালীন কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলেস ক্রিকেট বোর্ড। আসুন জেনে নিই সেগুলি সম্পর্কে –
১. দুই দলের একাদশের নামের তালিকা হবে ডিজিটাল। স্কোরাররা পেন ও পেন্সিল শেয়ার করতে পারবেন না। এছাড়া, অনুমোদিত ব্যক্তিদের চিপ-নিয়ন্ত্রিত কোভিড ট্র্যাকার কার্ডের মাধ্যমে ট্র্যাক করা হবে।
২. শুধুমাত্র দুই দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস, জেসন হোল্ডার এবং ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রড টস করতে মাঠে নামবেন। তবে থাকবে না কোনও ক্যামেরা এবং করমর্দন হবে না।
৩. গ্লাভস, শার্ট, জলের বোতল বা অন্যান্য কিছু একে অন্যের মধ্যে আদানপ্রদান করতে পারবেন না ক্রিকেটাররা।
৪. আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও রিচার্ড ক্যাটেলবোরি নিজেদের বেল নিয়ে মাঠে নামবেন এবং স্ট্যাম্প ও বেল স্যানিটাইজ করার জন্য বিরতি নেওয়া হবে।
৫. আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফ থেকে বলে লালরসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেটি অমান্য করলে, দুবার সতর্ক করার পর ৫ রান জরিমানা করা হবে।
৬. মাঠে থাকবে না কোনও বল বয়। এছাড়া মাঠের স্টাফরা খেলোয়াড়দের ২০ মিটার এলাকার মধ্যে আসবেন না।
৭. ওভারবাউন্ডারি হয়ে বল গ্যালারিতে চলে গেলে স্কোয়াডের খেলোয়াড়ই দস্তানা পরে তা মাঠে আনবেন।
৮. অন্যদিকে খেলোয়াড়রা যে হোটেলে থাকবেন, সেখানকার দরজা একটি অ্যাপের সাহায্যে খোলা হবে। ফলে দরজার হ্যান্ডেল স্পর্শ করার প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া থাকবে না রুম সার্ভিস ও লিফট সুবিধা।