দিনে ৫০ টাকা করে জমান আর পান ৪.৩ লক্ষ টাকা, দুর্দান্ত স্কীম পোস্ট অফিসের
কেন্দ্র সরকারের তরফে রেকারিং ডিপোজিটে কিস্তি জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসের কিস্তির টাকা আগামী ৩১শে জুলাই পর্যন্ত দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসে অনেকেই টাকা জমান। ফিক্সড ডিপোজিট ছাড়াও অনেকেই রেকারিং ডিপোজিট বা আরডি তে টাকা জমা করেন বিভিন্ন ব্যাংক এবং পোস্ট অফিসে। করোনা ভাইরাসের জন্য চলা লকডাউনের জন্য এই রেকারিং ডিপোজিটের উপর কিছু ছাড় দিতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্র সরকারের তরফে রেকারিং ডিপোজিটে কিস্তি জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসের কিস্তির টাকা আগামী ৩১শে জুলাই পর্যন্ত দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এর জন্য কোনো অতিরিক্ত চার্জও দিতে হবে না ডিপোজিটকারীদের।
দেশে চালু থাকা স্মল ফিন্যান্স এর মধ্যে এই মুহূর্তে রেকারিং ডিপোজিটই সবচেয়ে জনপ্ৰিয়। রেকারিং ডিপোজিট সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন-
১. রেকারিং ডিপোজিটে মাসে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা লগ্নি করতে হবে। আপনি প্রতিদিনও টাকা রাখতে পারবেন এতে। তবে নূন্যতম টাকার পরিমাণ ১০০ হলেও, ডিপোজিট করা টাকার কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। ১০ এর মাল্টিপল হিসেবে যে কোনো টাকা আপনি জমা দিতে পারবেন।
২. পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট সাধারণত ৫ বছরের জন্য হয়। ৫ বছরের পর আপনি আবেদন করে আবার ৫-৫ বছরের জন্য বাড়াতে পারবেন। টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। আপনি বাড়িতে বসেই অনলাইনে টাকা জমা দিতে পারবেন।
৩. সিঙ্গল এবং জয়েন্ট দুই ধরণের অ্যাকাউন্টই খোলা যায় রেকারিং ডিপোজিটে।
৪. রেকারিং ডিপোজিটে সুদ পাওয়া যায় প্রতি ত্রৈমাসিকে কম্পাউন্ড সুদের হিসেবে। প্রতিদিন ৫০ টাকা করে জমা করলে মাসে ১৫০০ টাকা জমা হয়। যদি আপনি ৫.৮ শতাংশ ত্রৈমাসিক কম্পাউন্ডিং হিসেবে সুদ পান তাহলে ৫ বছরে মোট হবে ১.০৫ লক্ষ টাকা, ১০ বছরে ২.৭৫ লক্ষ টাকা আর ১৫ বছরে হবে ৪.৩ লক্ষ টাকা৷